- কি সব আবোল তাবোল কথা বলছেন আপনি, এর সাথে
যাত্রী বাড়া কমার কি সম্পর্ক ?


- আরে দাঁড়ান, আগে কথা শেষ করতে দেন, পুরোটা শোনেন
তাহলে না বুঝতে পারবেন  আসল   ব্যাপার, এতো অধৈর্য হলে
চলবে কেন ?


-আচ্ছা, বলেন আপনি, শুনি আপনার ব্যাখা, দেইখেন আজে
বাজে কিছু যেন আবার না হয় ।  


- এই গাড়ীতে গন্তব্যে পৌছতে এতো সময় লাগবে যে প্রথমে
মানুষ রেগে যাবে, তারপর ধৈর্য হারাবে, কিন্তু এতেও যখন
কিছু হবে না তখন একে নিরবে ভাগ্য বলে মেনে নেবে, কিন্তু
একটি সময়ে সে আবার ভাবতে শুরু করবে এই সময়টা বসে
থেকে নষ্ট না করে কিভাবে কাজে লাগানো যায় ।  


- নতুন কিছু বলে তো মনে হচ্ছে, অনেকেই তো পত্রিকা পড়া,
বই পড়া, মোবাইলে নেট ব্রাউজিং ইত্যাদি কাজে  যাত্রা পথের
এই সময়টা কাজে লাগাচ্ছে, এ আর নতুন কি, এসব তো
আমাদের রোজকার আটপৌরে জীবন কাহিনী ...


- না আমি এগুলোর কথা বলছি না, ঐ যে বললাম যাত্রীদের
ভেতর কার দশজন অবিবাহিত দশ জন নারীর কথা, একসময়ে
এরা ভাবা শুরু করবে বাসে বসে বসেই বুঝি আমাদের যৌবন
শেষ হয়ে যাবে, এই নারী যাত্রীদের বিপরীতে অবিবাহিত পুরুষ
যাত্রীও থাকবে, উভয়ের ভাব ও ভাবনা মিলে যাওয়াতে তখন
তারা মনদৈহিক আকর্ষণে পরস্পরের দিকে মনোযোগ দেবে ।  


বিদ্রঃ আজ  প্রকাশিত হল নিম্ন ও মধ্যবিত্যের গন্তব্যে পৌঁছানর বাহন ঘিরে রচিত“লোকাল সার্ভিস” সিরিজের তেত্রিশতম পর্ব । প্রতিনিয়ত চলমান পথ থেকে পরিনতির গন্তব্যে ছুটে চলা রংচটা লোকাল সার্ভিস ও তার সাথে জড়িত কিছু আপামর মানুষের গাথাই উপজীব্য হয়েছে এই বহুমাত্রিক Dialogue ঘরানার কবিতায় । সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা ।