- পুরোপুরি রসিকতা নয় মশাই, নিদান কাল বলে
একটি কথা আছে না, বিপদে পড়লে যেমন নরখাদক
বাঘেও ধান খায়, একবার একটি মুভি দেখেছিলাম,
দূর পাল্লার একটি বাসে গভীর রাতে এক প্রেগন্যান্ট
মহিলার প্রিম্যাচিউর লেবার পেইন উঠে গেল, সাথে
তার স্বামীও আছেন, মহিলার অবস্থা দেখে সহযাত্রীরা
সাবাই ভাবতে লাগলেন কি করা যায়, এই সময়ে এক
ভদ্রলোক এসে সার্জন হিসেবে নিজের পরিচয় দিলেন
এবং মহিলার স্বামীর কাছে ডেলিভারী করার অনুমতি
চাইলেন, মহিলার তখন জীবন মরন সমস্যা তবুও
একেবারে অচেনা পুরুষ তাই মহিলার স্বামী একটু
দ্বিধায় পড়ে গেলেন, উনার মানসিক অবস্থা বুঝতে
পেরে চিকিৎসক তার নিজের পরিচয়পত্র দেখালেন,
উনি পার্শ্ববর্তী একটি সরকারী মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালের শল্য চিকিৎসা বিভাগের সহযোগী
অধ্যাপক, পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্বামী ভদ্রলোক
তাকে অনুমতি দিলেন স্ত্রীর ডেলিভারী পরিচালনা
করার । পেছন থেকে দুই সারির যাত্রীরা তাদের
সিট ছেড়ে দিল, ধাত্রী বিদ্যায় কিছু অভিজ্ঞতা
আছে এমন আরেক মহিলা এগিয়ে এলেন এই
কাজে সার্জনকে সাহায্য করার জন্য, বাস যখন
তার গন্তব্যে পৌঁছল তখন একটি সফল ডেলভারির
পরিসমাপ্তিতে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শোণা গেল ।


বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল নিম্ন ও মধ্যবিত্যের গন্তব্যে পৌঁছানর বাহন ঘিরে রচিত“লোকাল সার্ভিস” সিরিজের পঁয়ত্রিশতম পর্ব । প্রতিনিয়ত চলমান পথ থেকে পরিনতির গন্তব্যে ছুটে চলা রংচটা লোকাল সার্ভিস ও তার সাথে জড়িত কিছু আপামর মানুষের গাথাই উপজীব্য হয়েছে এই বহুমাত্রিক Dialogue ঘরানার কবিতায় । সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা ।