তোমার শুরু থেক শেষ অদ্যাবধি সব লেনদেন
আমি রেখেছি বামবুকের গোপন খাতায় টুকে,
চলমান সময়ের সমান্তরাল আবর্তনে
তুমি কতোটা বদলাতে চেয়েছ
তুমি কতোটা বদলাতে পেরেছ,
সে ইতিহাস আছে জীবনের কক্ষপথে লেখা,
ব্রেসিয়ারের মাপ বত্রিশ থেকে বেড়ে ছত্রিশ
হওয়াকেই যদি বিলাসী ভাবনায় সুখে থাকা
বলে তবে চৌরাস্তার মোড়ে মোড়ে সস্তা রঙ
মেখে আলো আঁধারের ক্ষণিকের খনন খেলার
সাথী পতিতারাই তো সবচেয়ে সুখী সম্প্রদায়,
তুমি কি তবু আমাকে বলবে বরফের সফেন
গলনাংক ঢেকে দিতে পারে হৃদয়হীনতার ক্ষত ?
তোমার বড় বেশী ঢলঢলে সুখের লোকদেখানো
প্রদর্শনে আমি কেবল গোপন হাহাকারই খুঁজে
পাই তোমার অশ্রুশুন্য চোখের অন্তরালের কান্নায়,
তোমার ভালো থাকা না থাকার নিজস্ব বর্ণমালা
আমার বড় বেশী পরিচিত বলেই তুমি যতই
আড়ালে নিজেকে লুকাও, যতই দেখাও তোমার
সুখী হাসিমুখ, আমি কান পেতে ঠিকই শুনতে
পাই তোমার বুকভাঙ্গা নৈঃশব্দ্যের চেনা পদধ্বনি,
শীতল চোখের মৃত হাঁসির ফোয়ারা হৃদয় না ছুঁয়ে
শুধু শারীরিক আগুন জ্বালালে তুমি বেশ্যাবৃত্তি ছাড়া
আর কি নাম দেবে বল এই স্বীকৃত অবৈধ সম্পর্কের ?