নিশুতি আঁধারের ঘনায়মান দায় রোমশ বুক পেতে
নিয়ে অজানা মৃত্যুসম বিভীষিকার সাথে আজন্ম
মিতালীর সখ্যতায় অভিষিক্ত তুমি রহস্যময় রাত্রি,  
আলোকিত মানবিক ভাবনায় পূর্ণতার অমোচনীয়
জলছাপ একে দিয়ে উষ্ণ সৌর দিনের ধ্রুব বিপরীত
সমান্তরালে তুমি একা জেগে থাকা আবহমান রাত্রি।


নাগরিক দিনের অনিবার্য দহন শেষে শ্রান্ত গোধূলিতে
গৃহের একান্ত আশ্রয়ে ফেরার এক পশলা আকুলতা
নিয়ে তুমি বারবার ফিরে ফিরে আসা ঘুমঘোর রাত্রি,
সময়ের অদৃশ্য আস্তিনে আড়ি পেতে থাকা সর্বগ্রাসী
মৃত্যুর করাল থাবা থেকে বংশ গতির ধারায় ক্ষয়িষ্ণু
জীবনের বহতা বাঁচিয়ে তুমি রতিকাতর আদিম রাত্রি।


সমস্ত রহস্যের বিমূর্ত প্রতীক তুমি নিজস্ব পরিচয়ে
নিরন্তর আঁধারবৃত্তে আত্মপ্রকাশকে অকাতর করুনা
হেনে সগৌরবে একাকী দাড়িয়ে তুমি ঘনঘোর রাত্রি,  
নিকষ আঁধারের নিভৃত সামিয়ানার অন্তঃস্থ অন্তরালে
বিবেকের খিলবন্ধ দুয়ার খুলে তুমি প্রকাশের অকপট
আয়নায় নিজের মুখোমুখি দাঁড়াবার একান্ততম রাত্রি ।

বিদ্রঃ এই কবিতাটি গল্প কবিতা ডট কমের রাত্রি সংখ্যার কথা ভেবে লেখা কিন্তু ওখানকার পাঠক ভোট ও মন্তব্যের মাধ্যমে সেরা লেখা নির্বাচন পদ্ধতির কারনে লেখার মানগত মূল্যায়ন হয় না বলে প্রতিবাদ স্বরূপ রাত্রি সংখ্যায় আমি কোন লেখা জমা দেইনি । আজ বাংলা কবিতা আসরে লেখটি পোষ্ট দিলাম।