নিয়তির নির্মম পরিহাসে পৃথিবীর সমস্ত জঞ্জাল
সরানোর অমোঘ দায় ভারবাহী কাঁধে তুলে নিয়ে
দু মুঠো অন্নের জন্য আগুন লাল অনন্ত সূর্যকে
রাজসাক্ষী রেখে জন্ম জন্মান্তর চলে খেটে খাওয়া
সাধারন শ্রমজীবি মানুষের অক্লান্ত জীবন সংগ্রাম,
বেলাশেষে তবু হয়না নিপীড়িত মানুষের ভাগ্যবদল,
মাটির বুক চিরে লাঙ্গল চালানো শ্রমিকের ক্ষুধার্ত
হাড় দিয়ে স্থাপিত হয় বহুতল সুখের ভিত্তিপ্রস্তর,
ক্লেশের ঘানিটানা শ্রমিকের নির্মেদ রক্ত বড় অল্প
দামে জমা হয় নির্বিকার আভিজাত্যের ব্লাডব্যাংকে ।  
  
অক্লান্ত শ্রমের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা পরিশ্রমী
মানুষের ভাগ্য খুব সস্তায় বদলে নিয়ে পরিণামে
বিলাসী জীবনের লিপিড প্রোফাইলে শুধুই বেড়ে
চলে অদ্রবণীয় কলেস্টরেলের হৃদয়হীন ঘনত্ব ।


ভাগ্যের ঠিকানা খুঁজে ফেরা মেহনতি মানুষের
হাড় জল করা পবিত্র ঘাম বিকোয় সস্তা নিলামে,
সব শেষের হিসাব নিকাশে স্বপ্নসুখের নোঙ্গর তবু
জমা থেকে যায় মেদবহুল আভিজাত্যের করতলে,
গাইতি চালানো শ্রমিকের সবল বাহু পারেনা ভাঙ্গতে
বুর্জোয়া সমাজের অসম শ্রেণীবিভেদের সুউচ্চ পাঁচিল ।


সূর্যের আলোতে আছে সব মানুষের সমান অধিকার,  
আজ সময় এসেছে, আর নয়  পড়ে পড়ে মার খাওয়া,
আর নয় সস্তায় স্বপ্ন বদল, অসম সাহস বুকে নিয়ে
জেগে ওঠো আজ, আনুগত্যের নাগপাশ ছিঁড়ে ফেলে
ছিনিয়ে নাও নিজ ভাগ্য নিজে লেখার প্রাপ্য অধিকার  
হাতে হাত রেখে এক হয়ে বাহুবলে আজ নিঃশেষে
আজ ভেঙ্গে ফেল শ্রেণীবিভেদের সব ঠুনকো দেয়াল ।