মেঘ ও মানুষের অগ্রন্থিত সম্পর্ক সবসময় রেল লাইনের
একই সমান্তবালে পাশাপাশি পথ হেটে যায়...  
মেঘ যা জানে মানুষ তা হয়তো জেনেও জানেনা,
আবার মানুষ যা জানে মেঘ হয়তো তা জানেনা ...
মেঘ জানে না মানুষ কেন অসম্ভবকেই ভালবাসে ...
মানুষ জানে না জীবন শুরুর আগের ও শেষের পরের গল্প
ভ্রুনের জলজ জীবন শেষে মানুষের শরীর নিয়ে
জন্মের ঘুম ভেঙে অবাক চোখে প্রথম পৃথিবী দেখা,
প্রেমময় মায়ের নরম আঁচলের প্রথম আশ্রয়,
স্নেহময় বাবার সাথে প্রথম ভালোলাগা খুনসুটি,
অবাধ বাল্যের প্রথম সহজ সরল বন্ধুত্বের ওম,
প্রথম কারো জীবনের মত গাঢ় চোখে ভালোবেসে
মদির চোখ রেখে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণেের দুঃসহ সুখ,
প্রথম কারো উষ্ণ করতল স্পর্শ করে নিজেকে খুঁজে পাওয়া,
মরলোকে স্বর্গীয় আবেশ জাগানিয়া প্রথম অসহ্য রমনসুখ,
হৃদয় ও শরীরের অঙ্গিনায় নিজস্ব অস্তিতের চিহ্ন হয়ে
উত্তরপুরুষের আগমন ও তার কাছে নিজের শেষস্মৃতি
জমা রেখে চিরদিনের মত অনন্তে বিলীন হয়ে যাওয়া
মেঘ জানেনা জীবনের এই চিরাচরিত গল্পে কোথায়
থাকে ব্যক্তি মানুষের আলাদা অধ্যায়, আলাদা পরিচ্ছেদ,  
মানুষ জানেনা কেন মানুষের মত মেঘেদের কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য থাকে না...
অন্যের জন্য বৃষ্টির শিক্ততা হয়ে ঝরাতেই কেন মেঘেদের সার্থকতা ...
মানুষ জানেনা কেন মেঘেরা কোন একক উত্তারিধিকার রেখে যায় না ....
মেঘ জানেনা মানুষ কেন ভালোবেসে কখনো হয়ে যায় কোমল নদী
আবার সে কখনো ভালোবেসে কেন হয়ে যায়  জলন্ত আগুনের জ্বালামুখ ...


দৃষ্টি আকর্ষণঃ আজ বাংলা কবিতা আসরে প্রকাশিত হল আমার ২৯৪ তম লেখা “মেঘ মানুষ”, সামনে আসছে ৩০০ তম লেখা “শীতঘুম”, এই লেখা দিয়ে আমি কবিতা আসর থেকে শীতঘুমে চলে যেতে চাই । বিগত ৩০০ দিন ধরে আসরের ভালোবাসার টানে একটানা লেখা দিতে দিতে আজ আমি কিছুটা ক্লান্ত, সাহিত্য আসলে এভাবে রুটিন মেনে হয় না, শুধু সংখ্যা বাড়ানো বা লিখতে হয় বলে লেখা চালিয়ে যেতে চাই না, তাই চাই একটি চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতিহীন মৃত্যুর মত গাঢ় শীতঘুমের নিষ্কণ্টক অধিকার । ধন্যবাদ ও ভালোবাসা ।