সহসাই তার সব নাগরিক কোলাহল সমেত পিচঢালা রাজপথ
হেটে চলে গেল আমার অনিকানো বুকের ভেতর দিয়ে,
সময়ও গুনে গুনে তার অমোচনীয় সীলমোহর মেরে দিলো
আমার পরাজয়ের চূড়ান্ত হিসাবের প্রতিটি পাতায়,    
সুযোগ বুঝে তুমিও ধারালো সুতা গোটাতে শুরু করলে
তোমার সুবিধাবাদী লাটাইয়ের কোপন নাভিমুল থেকে,
আমার স্বার্থপর ঘড়ির কাঁটাও চলতি বাতাসের তালে তাল
মিলিয়ে ঘুরতে শুরু করল সুখকে বিপ্রতীপ কোন করে,
জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে আমি সহসাই ফিরে পেলাম
আমার হারানো অতীত পথে ফেলে আসা নিজস্ব দুঃখ নদীর
জলে তোমার সাথে গোপন ডুবসাঁতারের রজঃশিলা সুখ,
প্রোজেক্টরের স্লাইডের মত সহসাই আমার সামনে দিয়ে  
খালি পায়ে হেঁটে চলে গেল তোমার স্তনমুলের গোপন জন্মদাগ,
তোমার যোনীপ্রদেশের আকাঙ্ক্ষিত আঁধার ঢেকে রাখা আকাশ
শাড়ীর নীল জমিনে আমি মানব জন্মরহস্যের জৈবিক
ইতিহাস ছাড়া আর কোন কমনীয়তা খুঁজে পেলাম না,
আমি জেনে গেলাম অসহায় জীবনের করতলে কারো
জন্যই সান্ত্বনা ছাড়া আর কোন প্রতিদান বেচে পড়ে নেই,
এরপর আমি একে একে সবাইকে ক্ষমা করে দিলাম
আমি জীবনকে ক্ষমা করে দিলাম
আমি সময়কে ক্ষমা করে দিলাম
আমি ক্ষমা করে দিলাম অপারপগতাকে
সবশেষে অসহায় তোমাকেও জন্মের মত ক্ষমা করে দিয়ে
অধরা বিপ্রতীপ সুখকে ক্রমাগত পিছু ধাওয়া করে করে
একটি নতুন সূচনার অনাবিল প্রত্যাশায় বহতার বিপরীত
আবর্তে আমি ফিরে গেলাম আদি জন্মলগ্নের শূন্য অনুভবে ।


লেখা রিভিউঃ বিপ্রতীপ সুখ


গতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন । রাত জেগে ক্যারাম খেলে ঘুমিয়েছি ৩টার দিকে । সকাল আটটায় ঘড়ির বেসুরো কলবেলে ঘুম ভেঙে কোনরকম তাড়াহুড়ো করে অফিসে যাবার জন্য রেডি হয়ে দেখি পকেটে মানিব্যাগ নেই, একে সময়ের তাড়া তার উপর এই বিভ্রাট, আমি পুরনো অভ্যেস অনুযায়ী ব্যাকট্র্যাক করে মনে করার চেষ্টা করলাম শেষ কখন কোথায় ব্যবহার করেছি মানিব্যাগ, সেই হিসেবে অফিসের প্যান্টের পকেটে থাকার কথা সবেধন নীলমণির, না নেই, ছুটির দিন বলে গতকাল কাজের বুয়া সব কাপড় ধুয়ে দিয়ে গেছে । সাবধানের মার নেই ভেবে আমি সবসময় মানিব্যাগ ছাড়াও কিছু টাকা শার্টের পকেট বা অন্য কোথাও রাখি, তো পকেটের সেই ভাংতি টাকা কয়েকটি নিয়ে অফিসে পৌঁছে দেখি তাড়াহুড়ো করে ভুলে পেনড্রাইভ বাসায় ফেলে এসেছি । অফিসের কাজের ফাইলের সাথে সাথে কবিতা আসরে আজকের পোস্ট দেবার লেখা লোকাল সার্ভিস সিরিজের একষট্টিতম পর্বটিও ছিল ঐ পেন ড্রাইভে । তো কি করা যায় ভেবে ভেবে শেষ পর্যন্ত ১৫ মিনিটে লিখে ফেললাম আজকের এই কবিতা “বিপ্রতীপ সুখ” । তারপর আড্ডার জন্য লিখলাম আজকের এই অভিজ্ঞতা । খুব অল্প সময়ে লেখা হলেও এটি আমার পূর্ণ কবিতা গুলোর অন্যতম । সবাইকে আমন্ত্রন রইল পড়ার ।