সনাতনী সাহিত্যের বক্তব্য ছিল সাহিত্য মানে শিল্প ও সৌন্দর্যের সাধনা তাই ঐ ধারার লেখকরা জীবন থেকে খুব সাবধানে বেছে বেছে সুন্দর অংশগুলো বের করে এনে তাকে শিল্পীত করে তুলতেন, সেই সাথে সচেতনভাবে যা অসুন্দর তাকে পরিহার করতেন । কিন্তু এর ফলে সাহিত্যে জীবনের পূর্ণ প্রতিফলন হতো না, জীবনের যে ছবি উঠে আসতো তা ছিল একটি খণ্ডিত জীবন, আধুনিক সাহিত্য এই ধারনাটি বদলে দেয়, সে তুলে আনে পাপ পঙ্কিলতা সহ পূর্ণ জীবন । ফলে তা হয়ে উঠে জীবনের যথাযথ প্রতিচ্ছবি । কিন্তু প্রাচীনপন্থী এটা মেনে নিতে পারে না, রে রে করে তেরে আসে, তবে আধুনিক সাহিত্যের উপরও একটি গুরু দায়িত্ব আছে তা হল সাহিত্য হতে হবে জীবনের মত স্বতঃস্ফূর্ত । যা স্বাভাবিকভাবে আসে তাই অন্তর্ভুক্ত হবে, জোর করে কিছু ঢুকানো যাবে না, ভুল মেসেজ দেয়া যাবে না, এই সূক্ষ্ম সীমা লঙ্ঘন করলেই তা হয়ে যাবে অশ্লীল।