একটা সময় ছিল যখন কেবলমাত্র পরিধেয় পোশাক দিয়ে মাপা হত স্মার্টনেস। কেউ স্যুট বা নিদেন পক্ষে একটা একটা কোট গায়ে দিলে বা চোখে কালো সানগ্লাস পরলেই মানুষ তার দিকে তাকাতো সম্মানের সাথে। মানুষটিও নিজেকে মনে করত,‘আহা! আমি কতই না স্মার্ট।’ নারীদের ক্ষেত্রেও পোশাক আর দামী গহনা ছিল স্মার্টনেস মাপার মানদণ্ড। তবে আজ সেই যুগ পার হয়ে এসেছি আমরা । এখন গরমের দিনে কেউ কোট পরে রাস্তায় বের হলে তার হাসির পাত্র হবার সম্ভাবনাই প্রবল। সেই সাথে নিত্যদিনের কাজকর্মে মানুষ আজ শুধুমাত্র পোশাক দিয়ে স্মার্টনেস মাপার ধ্যান ধারনা থেকে আজ বেরিয়ে এসেছেন । পরিপাটি, রুচিশীল ও মানানসই পোশাক আপনার ব্যাক্তিত্বের পরিচায়ক কিন্তু একমাত্র পোশাকই আপনার স্মার্টনেসের মানদণ্ড নয়। তাহলে প্রশ্ন থাকতে পারে, স্মার্টনেস কি?
স্মার্টনেস আসলে  কোন আলাদা বিষয় নয়। অনেকগুলো ভাল আচরণ ও সুঅভ্যাসের চর্চার সাথে সাথে কিছু খারাপ বা মন্দ আচরণ পরিহার । স্মার্টনেস ফুটে উঠতে হবে আপনার ব্যাক্তিত্বে, আপনার আচরণে। একজন মানুষের ভেতরের সব ভাল গুনগুলোর সম্মিলিত ফলই হল স্মার্টনেস। সহজ কথায় চাল চলন, আচার আচরণ, কথা বার্তা সবকিছু হতে হবে পরিশীলিত । যেখানে যা করা দরকার বা যা বলা দরকার ঠিক ততটুকুই বলতে বা করতে হবে, কমও না আবার বেশীও না । এককথায় এটাই হল সত্যিকার অর্থে স্মার্টনেস ।


এখন হয়তো চিন্তা করতে বসলেন আপনার ভালো গুন কি কি আছে। অনেক গুনের সমাহার হলে তো কথাই নেই, হয়ে গেলেন আপনি স্মার্ট! কিন্তু না, শুধু ভালো গুন থাকলেও কিন্তু তো হবেনা, দরকার তার সঠিকভাবে প্রকাশও, সাথে সাথে দরকার হবে কিছু বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করার । উফ! অনেক কঠিন স্মার্ট হয়ে উঠা, তাইনা? মজার ব্যাপার হলো তা কিন্তু একদম নয়। স্মার্ট হতে চাইলে আগে জানুন কিসে কিসে স্মার্টনেস কমায়, এবং তা পরিহার করুন। তাহলেই দেখবেন অন্যদের চোখে আপনি হয়ে উথেছেন স্মার্ট।


অন্যের অনুকরণে স্মার্টনেস নেইঃ


জীবনের রঙিন প্রহরে যখন একজন ব্যক্তি তার কৈশোরে পা রাখেন তখনই তিনি বুঝতে শুরু করেন স্মার্টনেস বলে একটি বিষয় আছে। কেউ হয়ত কৈশোরে পা দিয়েই হয়ে যান সবার কাছে আরাধ্য, বাকিরা তাকে দেখে অনুকরণ করে হতে চায় স্মার্ট। এবং এখানেই জীবনের চলার পথের প্রথম ভুলটাই করে বসে অনেকে। অন্যকে অনুকরণ করে কখনো স্মার্ট বা আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারবেন না আপনি। হতে হবে নিজের মতন, মৌলিক। আপনি যেমন বা যেরকম ভাবেন, সেটাই আপনার ব্যক্তিত্ব। এছাড়াও অনেককে দেখা যায় কোন সেলিব্রেটি বা আইকন পারসোনালিটিকে অন্ধভাবে অনুকরণ করতে, তার যদি সত্যিকার ভালো কিছু থেকে থাকে তাহলে সেটুকু গ্রহণ করতে বাধা নেই কিন্তু অন্ধ অনুকরণ বা সে যা করে তাকেই ভালো মনে করা শুধু স্মার্টনেশের অভাব নয়, এটা নির্বুদ্ধিতা ।  


ধূমপান ও মাদকাসক্তি নয় স্মার্টনেসের মাপকাঠিঃ


তরুণদের চোখে স্মার্টনেস হিসেবে প্রথমে যা ধরা দেয় তা হল ধূমপান ও মাদকাসক্তি। অনেকেই ভাবেন স্কুলের বা কলেজের জনপ্রিয় ছেলেটিকে বা মেয়েটিকে দেখলাম সিগারেট  হাতে বা মাদক নিতে, ব্যস আমিও নেই আর হয়ে যাই স্মার্ট। ভুল, সব থেকে বড় ভুল হচ্ছে এটাই। মাদক নেয়া বা ধূমপান করা কখনোই স্মার্টনেস নয়। যে ব্যাপার আপনাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়, সেটা কি করে স্মার্ট নেস হতে পারে? আপনি যখন ধূমপান করেন সবার সামনে, তখন আশেপাশের অধূমপায়ীদের কি অনুভূতি হয় বা আপনার সম্পর্কে কি ধারনা হয়  দয়া করে সেটি ভেবে দেখুন ।সময় থাকতেই ধূমপান ও মাদকাসক্তি দূর করুন। এমন একটা খারাপ অভ্যাস কখনো স্মার্টনেস এর মধ্যে পরেনা ।


অন্যকে অহেতুক ছোট করার মাঝে নেই স্মার্টনেসঃ


মানুষ মাত্রেই কোন না কোন দোষ বা দুর্বলতা রয়েছে । অন্যের ভুল ধরিয়ে দিয়ে তাকে ছোট করার মধ্যেও নেই স্মার্টনেস । কেই যদি ভুল করেই ফেলে তাহলে তাকে ভদ্রভাবে বুঝিয়ে বলুন আর নিজে থেকে তার ভুলটা সংশোধন করে নেবার সুযোগ দিন । তাকে ভুলের কারণে অসন্মান করা হলে আপনি হয়তো নিজেকে মনে মনে বড় বলে জাহির করতে পারতেন কিন্তু তার কাছে আপনি কখনো সন্মানের পাত্র হতে পারতেন না ।


হামবড়া বা নিজেকে বড় প্রমাণ করার চেষ্টার মধ্যে নেই স্মার্টনেসঃ


হামবড়া ভাব দেখাবেন না বা কখনো অযথা নিজেকে জাহির করতে যাবেন না। এতে লোকের কাছে সন্মান পাওয়া যায় না। আপনি আপনার কাজটা করে যান লোককে আপনার কাজের মূল্যায়ন করতে দিন ।  নিজের একটা ব্যাক্তিত্ত গড়ে তুলুন এবং তা মেনে চলুন । লোকেই আপনার ঢোল বাজাবে, আপনাকে বাজাতে হবে না ।  


অকারণ বাকপটুতা দেখানোটা স্মার্টনেস নয় বাচালতাঃ


ছুড়ে দেয়া তীর আর বলে ফেলা কথা কখনো ফেরানো যায় না তাই কথা বলুন চিন্তা ভাবনা করে । অহেতুক বেশী কথা বলতে যাবেন না কারণ অকারণ বাকপটুতা দেখানোটা স্মার্টনেস নয় বাচালতা । একজন দার্শনিক বলেছিলেন “যে বেশী কথা বলে তার বেফাঁস কথা বলার সম্ভবনা বেশী । তাই বেফাঁস কথা বলার চেয়ে চুপ থাকাটাই নিরাপদ”। আপনার কথা বার্তা মানুষের মনে আপনার সম্পর্কে একটা অবস্থান তৈরি করবে তাই ভেবে দেখুন কোন অবস্থানে নিজেকে দেখতে চান ।  


স্মার্টনেসের সাথে প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেইঃ


তবে এমন অনেক তরুনই আছেন যারা তারুণ্যে পা দিয়েই স্মার্টনেস হিসেবে ধরে নেন প্রেম করাকে। সব সময় পাশে একজন থাকবে যার সাথে সুখ দুঃখ ভাগ করে নেয়া হবে, সেটা তো অবশ্যই একটি ভাল ব্যাপার। এমন সম্পর্কও হয় অনেক মহৎ। তাই বলে শুধু মাত্র প্রেম করলেই আপনি স্মার্ট, যদি এমন ভেবে থাকেন তো আপনাকে বলছি- এমনটা ভাবাটা একদমই ভুল হবে। কারণ স্মার্টনেস কখনোই কোন সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে উঠে না। নিজের পাশে একজন সুন্দরী প্রেমিকা বা হ্যান্ডসাম প্রেমিক থাকলেই আপনি স্মার্ট হয়ে যাবেন না। ক্যাম্পাসের সব চাইতে জনপ্রিয় ব্যক্তির সাথে প্রেম হয়তো আপনাকে খানিকটা সময় জনপ্রিয় হওয়ার অনুভূতি দিবে, কিন্তু সেটার সাথে প্রকৃতপক্ষে স্মার্টনেসের কোনও সম্পর্ক নেই। স্মার্টনেস হল আপনার মাঝে। আপনার নিজেকে তুলে ধরার উপরে নির্ভর করেই অন্যরা আপনার স্মার্টনেস বিচার করবে।


ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনে নয় স্মার্টঃ


যুগটাই এখন ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন তথা এনড্রয়েড এর। ঘরে ঘরে ল্যাপটপ, হাতে হাতে স্মার্টফোন। নাম স্মার্টফোন, তাই হাতে থাকলেই আপনি স্মার্ট- এই ধারনা থাকলে তা অবশ্যই পরিত্যাগ করুন। ফোনটির নাম স্মার্ট ফোন তার নানাবিধ সেবা ও আধুনিকতার জন্য। তাই বলে হাতে ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন থাকলেই আপনি স্মার্ট, এর চাইতে হাস্যকর ধারণা আর কিছু হতে পারে?


মোবাইল ফোন সুবিধা ব্যবহার করুন বুঝে শুনেঃ


মনে করুন রাত ১টা বাজে। গভীর ঘুমে আপনি আচ্ছন্ন। হঠাৎ করে যদি ফোন বেজে উঠে তবে আপনার বিরক্ত হওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়? ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তাই বলে সময় ও পরিস্থিতি না বুঝে ফোন দিলে আপনার সম্পর্কে মানুষের ধারনাটাই বদলে যেতে পারে। অনেক তরুণ তরুণীরাই মনে করে রাত জেগে মোবাইল ফোনে আড্ডা দেয়া বা সারাক্ষণ মেসেজ পাঠানো মনে হয় খুব একটা আধুনিকতা বা স্মার্টনেসের লক্ষণ। অথচ এই ব্যাপারগুলো স্মার্টনেস তো নয়ই, বরং বিরক্তিকর এক অভ্যাস।


পরচর্চায় ব্যক্তিত্বহানীঃ


পরচর্চা একদম বাদ দিন। এটা এমন একটি অভ্যাস যা আমাদের সবার মাঝেই কমবেশি উপস্থিত আছে। তাই বলে এমন একটি খারাপ আচরণকে অব্যাহত রাখতে হবে, তা তো নয়। চেষ্টা করুন নিজের অভ্যাস বদলাতে। মনে রাখবেন আপনি যার সামনে অন্যের পরচর্চা করছেন সেই হয়ত আরেক জায়গায় গিয়ে আরেকজনের কাছে আপনাকে নিয়ে কথা বলবে। আর অন্যের সামনে পরচর্চা করলে তাতে কেবল আপনি আর আপনার ব্যক্তিত্বই খাটো হয়, অন্যের দোষ ধরার মাঝে কোনও স্মার্টনেস নেই।


ভুল স্বীকার করলে কেউ ছোট হয় নাঃ


কোন কাজে ভুল হয়েছে? স্বীকার করুন। অন্যকে দোষ দিতে যাবেন না। একে অন্যকে দোষারোপ করলেই যা ভুল হয়েছে তা ঠিক হয়ে যাবে এমন তো নয়। তাই অন্যকে দোষারোপ না করে নিজে কি কি ভুল করেছেন সেইটুকু জানার চেষ্টা করুন এবং শুধরিয়ে নিন। এতে আপনি ছোট হবেন না। বরং নিজের ভুল স্বীকার করতে যে সাহসিকতার পরিচয় নিহিত, সেটিই আপনাকে করে তুলবে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় অন্যের চোখে। মানুষ মাত্রই ভুল করতে পারে কিন্তু সেটা স্বীকার করার মত সাহস সবার থাকে না – এটা আপনার ব্যাক্তিত্তকে দেবে নতুন একটা মাত্রা ।
  
অন্যের সাফল্য বা যোগ্যতার স্বীকৃতি ও উৎসাহ দিনঃ


মন থেকে অন্যদের সাফল্য ও যোগ্যতার স্বীকৃতি ও উৎসাহ দিন । এতে আপনার উদার মনের পরিচয় পাবে মানুষ এবং মানুষের কাছে আপনার গুরুত্ব ও গ্রহণ যোগ্যতা বাড়বে  এবং এর ফলে লোকজনের থেকে আপনার সাফল্য ও যোগ্যতার  স্বীকৃতি মিলবে সহজেই ।    


থাকুন সৃষ্টিশীল, কর্মানুরাগী ও আত্নবিশাসীঃ  


সবসময় সৃষ্টিশীল থাকুন । একঘেয়েমী ও গনানুগতিক কাজ পরিহার করার চেষ্টা করুন । সবসময় নিজ কাজে মনযোগী হওয়ার চেষ্টা করুন ও নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন ও কাজে কর্মে আত্নবিশাসী থাকুন কিন্তু কখনো ওভারস্মার্ট হবেন না ।


পোশাক পরিচ্ছদে মার্জিত রুচি ও পরিচ্ছন্নতার পরিচয় দিনঃ


পোশাক আপনার স্মার্টনেসের ধারক না হলেও সুন্দর,পরিপাটি, রুচিশীল ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক আপনার ব্যাক্তিত্বের পরিপূরক । তাই পোশাক আশাকের ক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও মার্জিত রুচির পরিচয় দিন ।

কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন নাঃ


প্রত্যেকরই কিছু ব্যক্তিগত বিষয় থাকে । আপনি যেমন চান না অন্য কেউ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক তেমনি আপনিও বিনা প্রয়োজনে অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলানো থেকে বিরত থাকুন অন্যথায় আপনিও অন্যদের ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হতে পারেন।


শুধু বাইরে নয়, স্মার্ট হতে হবে ঘরেওঃ


অনেকেই হয়ত কথাবার্তায় অনেক স্মার্ট, স্মার্টনেস ধরা পড়ে পোশাকে আশাকেও। কিন্তু ঘরের আপন মানুষগুলোর সাথেই করেন খুব খারাপ আচরণ। কথায় কথায় মুখ খারাপ করা, এটা-ওটার জন্য মা বাবার ওপর চাপ প্রয়োগ করা, গুরুজনদের অবাধ্য হওয়া, ভাইবোন বা কাজের লোকদের গায়ে হাত তোলা ইত্যাদি সবই করে থাকেন। এমন ব্যক্তি আর যাই হন না কেন, কোনোভাবেই স্মার্ট বিশেষণের দাবিদার নন। যে ব্যক্তি নিজের পরিবারের উপরে শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার করেন তিনি স্মার্ট নন।


সম্মান সকলের জন্যঃ


হয়তো উপরে বর্ণিত খারাপ আচরনগুলো আপনার মাঝে নেই, কিন্তু আপনার মধ্যে যদি ম্যানারিসজম বা আদব কায়দার বোধটাই না থাকে তবে সবটাই বাহুল্য বলেই মনে হবে। একজন মানুষ সে যে সামাজিক বা আর্থিক অবস্থানেই থাকুক না কেন একজন মানুষ হিসেবে তাকে সন্মান দিতে হবে। এছাড়া বড়দের সাথে শ্রদ্ধার সাথে কথা না বললে ও ছোটদের সাথে স্নেহপূর্ণ আচরণ না করে থাকলে আপনি কোনভাবেই স্মার্ট ব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত হবেন না। যারা অন্যকে সম্মান করতে পারেনা তারা নিজেরাও কোন সম্মানের দাবিদার হতে পারেনা বা তাদের আত্ন সন্মান নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায় । আর যে ব্যাক্তি সম্মান অর্জন করতে পারে না অন্যদের চোখে, সে কোনভাবেই স্মার্ট ব্যাক্তি বলে চিহ্নিত হতে পারেনা। সন্মান দিবেন সবাইকে কিন্তু ভয় পাবেন একমাত্র সৃষ্টিকর্তাকে


নিজকে সবসময় আপটুডেট রেখে হতে হবে স্মার্টঃ


আজকের এই অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সমসাময়িক সামাজিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়ে নিজেকে আপটুডেট রাখুন যাতে আপনি যে কোন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন । প্রয়োজনে আপনাকে যেমন একজন প্রেসিডেন্টের সাথে মেশার ক্ষমতা থাকতে হবে তেমনি একজন পথের ফকিরের সাথে ।  


ইন্টারনেট ব্যবহারে হতে হবে স্মার্টঃ


আমাদের দেশে বেশি ভাগ মানুষই জানেন না যে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাঝেও আছে স্মার্টনেস । আজকাল মুঠোফোনের কল্যাণে সকলের হাতে হাতে ইন্টারনেট সুবিধা। কিন্তু সুবিধাটা কেবল ব্যবহার করলেই হবে না, করতে হবে বুদ্ধিমত্তার সাথে। ইন্টারনেট সুবিধা আছে বলেই দিনরাত ফেসবুক বা অন্য কোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট নিয়ে পড়ে থাকা বা আড্ডা বাজি করে মূল্যবান সময় নষ্ট কখনো স্মার্টনেস হতে পারে না।


শেষ কথাঃ  


নিজেকে প্রকাশ করুন আপনার নিজের মতন করে। বিশেষ কিছু জোর করে নিজের ওপর আরোপ না করে বরং ঝেড়ে ফেলুন খারাপ অভ্যাস গুলো।আর হয়ে উঠুন সত্যিকারের স্মার্ট।