বিদ্যুজ্জিহা,  
আমার আত্মার সাথে নিজস্ব নিবিড়তায় মিলেমিশে
একাকার হয়ে যাওয়া একটি বিশেষ উচ্চারণ,


বিদ্যুজ্জিহা,  
আমার আবহমান রক্তের শিরায় শিরায় সতত বয়ে
যাওয়া একটি একান্ত গোপন অনুভব,


না, বিদ্যুজ্জিহা আমার গোত্রভুক্ত কোন স্বজন বা রক্ত
সম্পর্কের ঘনিষ্ঠ কেউ নয়,


না, বিদ্যুজ্জিহা আমার পরিচিত কোন জাগতিক বন্ধু
বা শুভাকাঙ্ক্ষীদের কেউ নয়,


না, বিদ্যুজ্জিহা আমার হারিয়ে যাওয়া অতীতের
বিস্মৃত কোন প্রিয় নাম নয়,


না, বিদ্যুজ্জিহা আমার কোন গোপন ভুলের
অনিবার্য পিছুটান নয়,


না, বিদ্যুজ্জিহা হারিয়ে ফেলা স্মৃতির সাথে কাটানো
কোন প্রিয় সময় নয়,


না, বিদ্যুজ্জিহা আমার প্রেয়সীর গোপন প্রেমিক
বা প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়,


বিদ্যুজ্জিহা
আসলে বাইরের জগতের কোন বোধগম্য শারীরিক
অস্তিত্ব নয় ...


বিদ্রঃ “বিদ্যুজ্জিহা” শব্দটি একদিন আমার ভাবনায় বিদ্যুৎ চমকের মত হানা দিলো । কি এর মানে,  সে কি কোন মানুষ না অন্য কিছু, কোথায় কখন শুনেছি এই শব্দ, কোথায় তার আদি, কোথায় অন্ত, এসবের কিছুই আমি মনে করতে পারলাম না কিন্তু  মনে হল এই শব্দটির সাথে আমার জন্ম জন্মান্তরের গভীর কোন সম্পর্ক আছে । শব্দটি বারবার আলোড়িত করতে লাগলো অন্তস্ত সত্ত্বাকে। “বিদ্যুজ্জিহা” শব্দটির তাৎপর্য খুঁজতে গিয়ে আমি কোন ভাবেই কোন সমাধানে পৌছাতে পারলাম না। এর প্রকৃত রহস্য আমি এখনো ভেদ করতে পারিনি তবে যুক্তি নির্ভর একটি প্রস্তাবনা দাড় করানোর চেষ্টা করেছি যার ভিত্তিতেই আমার এই ধারাবাহিক কবিতা “বিদ্যুজ্জিহা”।