বিদ্যুজ্জিহা,  
পরিচিত জগতের কোন ভাষার অভিধানেই এই শব্দের
কোন অর্থগ্রাহ্যতা নেই,


বিদ্যুজ্জিহা,
ইতিপূর্বে কোথাও কেউ কখনো শোনেনি এই শব্দটির
সচকিত উচ্চারণ,      


বিদ্যুজ্জিহা,
নভ মণ্ডলের কোথাও কেউ নেই এই নামের সত্ত্বাধিকার দাবী
করার,    


বিদ্যুজ্জিহা,    
আমার সত্ত্বার গভীর থেকে উঠে আসা একটি বিশেষ
অনুভূতির নাম,


বিদ্যুজ্জিহা, কোন দৃশ্যমান সম্পর্কের যোগসূত্র না থাকলেও
সে আমার অস্তিত্বের সাথে জড়িয়ে আছে,


বিদ্যুজ্জিহা, সে আমার আত্মার অংশ হয়ে আমার ভেতরেই
সদা বাস করে,


বিদ্যুজ্জিহা, ভেতরে  থেকে ভালোকে ভালোএবং মন্দকে
মন্দ বলে যায় প্রতিনিয়ত ...


বিদ্যুজ্জিহা,    
আমার নিজের পরাবাস্তব অস্তিত্ব যে অবিরত আমাকে সত্য
ও সুন্দরের পথ দেখায় ...    


বিদ্রঃ “বিদ্যুজ্জিহা” শব্দটি একদিন আমার ভাবনায় বিদ্যুৎ চমকের মত হানা দিলো । কি এর মানে,  সে কি কোন মানুষ না অন্য কিছু, কোথায় কখন শুনেছি এই শব্দ, কোথায় তার আদি, কোথায় অন্ত, এসবের কিছুই আমি মনে করতে পারলাম না কিন্তু  মনে হল এই শব্দটির সাথে আমার জন্ম জন্মান্তরের গভীর কোন সম্পর্ক আছে । শব্দটি বারবার আলোড়িত করতে লাগলো অন্তস্ত সত্ত্বাকে। “বিদ্যুজ্জিহা” শব্দটির তাৎপর্য খুঁজতে গিয়ে আমি কোন ভাবেই কোন সমাধানে পৌছাতে পারলাম না। এর প্রকৃত রহস্য আমি এখনো ভেদ করতে পারিনি তবে যুক্তি নির্ভর একটি প্রস্তাবনা দাড় করানোর চেষ্টা করেছি যার ভিত্তিতেই আমার এই ধারাবাহিক কবিতা “বিদ্যুজ্জিহা”।