জনান্তি, তোমার পুরুষ্ঠ ঠোটের কার্নিশে লটকে
আছে আমার ফেলে আসা অনন্ত বিকেল,
তবুও সদ্যস্নাত তোমাকে একদন্ড চোখের দেখার
জন্য ধানসিঁড়ির স্নানঘাটের কাঁকজলে হাঁসের পা
ভিজিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে পুরুষ জীবনানন্দ দাশ ...


জনান্তি, আমার না লেখা প্রেমের কবিতাগুলোকে
প্রতিদিন খুন করে চলেছে তোমার দুর্বোধ্য হাঁসি ...
তবুও তোমার বুক উথাল পাথাল করা ভাবনার
সাথে রোজ রাতে সাদাকালো ঘুমের দেশে গোপন
অভিসারে যায় কবিগুরুর বেহায়া শেষের কবিতা ...


জনান্তি, আমার ভালো থাকাকে রোজ উপেক্ষার
বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিনারাহীন কষ্টের রৌদ্রস্নানে
পাঠায় আমার জন্য তোমার বুকভাঙ্গা নির্লিপ্ততা ...
তবুও সীমাহীন পক্ষপাতে তোমার রাত্রির মত
দীঘল রহস্যময়তায় নাক ডুবিয়ে জীবনের মানে
খুঁজে ফেরে বনলতা সেনের প্রেমিক নাটোর ...  


জনান্তি, তোমাকে ঘিরে আমার বিদেহী স্বপ্নের
আঙুল ধরে নিয়তির মত অনিবার্য ঝুলে থাকে
তোমার দেয়া দিগন্তহীন প্রতিশ্রুতির শবদেহ,
তবুও তোমার ফিরে আসার সুরেলা পদধ্বনির
জন্য প্রত্যাশার মাটিতে রোদ হয়ে একাকী শুয়ে
থাকে আমার ফেলে আসা সবুজ কৈশোর ...


জনান্তি, তোমার রাত্রির আকাশ ধোয়া কালো চুল
মহাকালে বদলে গিয়ে তুমুল আক্রোশে ছিনিয়ে নেয়
আমার ভালো লাগার সোনালী কাবিননামা ...  
অবশেষে আকাশ নীলের সীমাহীন উদাসিন্যে
ভুল ভালোবাসা খুঁজে পায় মুক্তির রাজপথ,  
জনান্তি থেকে তুমি হয়ে যাও কোন এক জনান্তি ...