সম্প্রতি বাংলা কবিতা এডমিন কর্তৃক ঘোষিত “মন্তব্যে নিজের লেখায় আমন্ত্রণ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি”তে উল্লেখিত মন্তব্যের আমন্ত্রনের আমন্ত্রনের ঢালাও অপব্যবহার বন্ধের ঘোষণার সাথে একমত প্রকাশ করে তা রোধ করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই, তবে আমন্ত্রণ জানানোকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়কে সমর্থন করতে পারছি না, আমন্ত্রণকে পুরোপুরি বন্ধ না করে নিয়মিত আমন্ত্রনের মাধ্যমে দৃষ্টিকটুভাবে লেখায় পাঠক আহবানকে সীমিত করা যেতে পারে, আমন্ত্রণের যেন অপব্যবহার না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধকে স্বাগত জানাই, তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে কোন বিশেষ লেখায় কোন বিশেষ বন্ধুর মন্তব্য হয়তো আলাদা গুরুত্ব রাখে, আবার আসরে কিছু কিছু লেখা হয়ে থাকে এক বন্ধু কর্তৃক আরেক বন্ধুর জন্য, বন্ধুর মতাদর্শে, ব্যক্তিগত মাইল ফলক, কোন বিশেষ মতবাদ বা প্রেক্ষাপটে আমন্ত্রণ জানানো প্রয়োজন হয়ে পড়তে পারে - এটিই বাঙ্গালী অতিথেয়তা, মানুষের সহজাত হৃদয়বৃত্তিকে বাঁধা দেয়াকে সমর্থন করি না তাই এই রকম ক্ষেত্রে এই নিয়ম কিছুটা সিথিল করার সুপারিস করছি । আমার এরকম একটি মন্তব্যের উত্তরে এডমিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে “প্রয়োজনে প্রাসঙ্গিকভাবে, কিংবা পছন্দের এক-আধজনকে আমন্ত্রণ জানানো অগ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়নি বলেই এনিয়ে এতোদিন কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিনি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে প্রায় প্রতিটি কবিতার মন্তব্যেই কারো না কারো আমন্ত্রণ থাকছে তার পাতায় যাবার জন্য। বিষয়টি এমন এক পর্যায়ে পৌছেচে বলেই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হলো। আর যেহেতু এব্যপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে, তাই আমরা আশা করবো অন্যেরাও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তা মেনে চলার চেষ্টা করবে সবসময়” । - আমি আবারো বলছি নিয়ম তো মানুষের জন্যই, ভালোর জন্যই, সব নিয়মই প্রয়োজন ও বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে পরিবর্তিত, পরিমার্জিত, পরিবর্ধিত হতে পারে তাই আমার জোর সুপারিস আমন্ত্রন জানানোর ক্ষেত্রে অপব্যবহার বন্ধ করুন, তবে প্রয়োজন ও স্বাভাবিক হৃদয়বৃত্তিকে একটু ছাড় দিন কারন এটি সম্পূর্ণ মানবিক ও বাঙ্গালী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ । ধন্যবাদ ও ভালোবাসা ।