শ্বাপদ ভাবনার কুলুঙ্গিতে সারমেয় স্বপ্ন দহন,
ঘুণে ধরা ভোগের নোনা দেয়ালে নিরন্তর সুর
তাল লয়হীন বেসুরো নাগরিক কাব্য লিখে
চলে ক্লেদজ কামনার মৃত্যুময় শীতল চিতা,
নখ দন্তহীন শ্বেত অনলের লেলিহানে পুড়ে
যায় কুমারী রাতের অনুতাপহীন আকাশ,
অন্তিম গন্তব্য জেনেও আকাশের প্রেক্ষাপটে
ক্ষীণ হয়ে আসে ফেনিল দিগন্তের পিছুটান
শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে মৃত্যুর বুক পকেটের
ভাজে জমা থাকে অনাগত ভবিষ্যতের ঋণপত্র ।  


অবিশ্বাসের আকাশ কেবলই লুটে নিয়ে যায়
অলীক স্বপ্ন দেখার অফুরন্ত প্রদোষ আমার,
তবু সর্পিল মেঘ জমা হয় স্বপ্নের বিপ্রতিপে,
কষ্টের কালিগোলা জল তবু অহল্যার কুল ভাঙে,
পায়ে চলা পথ ধরে কালো কলমের পিছু পিছু
হেঁটে চলে যায় জীবন্মৃত কালো কালির কলুষ,
ধমনীতে রক্ত প্রবাহের অমৃত ছন্দের সাথে
মেলেনা কোন প্রিয় কবিতার জন্ম লগ্নের সুখ,  
মৃত স্বপ্নের হাড় জমে জমে রাত্রির লোমশ
বুকে কেবলই বেড়ে চলে দুর্বোধ্যতার ঘনত্ব ...