বহুদিন আগে প্রিয় বালিকার আঙুল ছুঁয়ে পুরুষ কৃষ্ণ
আমি বলেছিলাম তুমি কি আমার রাই কিশোরী হবে ?
তার চোখের তারায় ছিল আকাশ নীলের নিঃসীম আহ্বান,
তার চুল উড়ে উড়ে হয়েছিল আমার গন্তব্যের নিশানা,
আমার জন্য তবু কোন কথা ছিল না ঐ অবনত মুখে,
আমার ব্যাকুল জিজ্ঞাসারা পায়নি কোন শাব্দিক উত্তর,
তার  নীরব ঠোটের সাথে কথা বলেছিল খেয়ালী রোদ্দুর,
তার জন্য বুকের মধ্যে ভালোবাসা জমেছিল সাত সমুদ্দুর,
তবু  নীরবতার কফিনে শায়িত ছিল রাতের কানাকানি,    
নাজুক চোখে সে শুধু ছুঁয়েছিল আমার হৃদয়ের কড়িকাঠ,
অবক্ত্য কথারা সারাবেলা জুড়ে ছিল ভাবনার মাঠঘাট।    


পাওয়া না পাওয়ার মাঝামাঝির উড়াল সেতুতে অনন্তকাল
সে আমাকে দাড় করিয়ে রেখেছিল গন্তব্যহীন অপেক্ষায়,
সময়ের আছে অনন্তের হাতছানি, মানুষের ক্ষণিকের আয়ু,
সময়টা আমাদের জন্য, শুধু আমাদের হয়ে থেমে থাকেনি,
সে হারিয়ে যাওয়ায় আমার কোনদিন কৃষ্ণ হয়ে ওঠা হয়নি,
তবু তার হাঁসি, মায়া চোখে সুমেরুর ডাক তো ভুল ছিল না,
তবু সে আমার হল না, এক জীবনে তাকে পাওয়া গেল না,
পাওয়া মানে কি একই ছাদের নীচে আকাশহীন ঘর সংসার ?
পাওয়া মানে কি কম্বলের রাতে উষ্ণ নিঃশ্বাসের ভাগাভাগি ?


শারীরিক রাই কিশোরী আমার হয়নি, হবে না কোন দিন,  
আজ শুধু স্মৃতির চাদরে আছে লেগে সেইসব কান্নার দাগ,
তবু আজও মিথ্যে হয়ে যাইনি আমি, মিথ্যে হয়ে যায়নি সে
মিথ্যে হয়ে যায়নি সে সময়, মিথ্যে হয়নি আমাদের কিছুই,
আমরা বাঁধা পড়িনি সংসারের চাওয়া পাওয়ার চার দেয়ালে,
তবু মিথ্যে নয় হৃদয়ের ডাক, ভাবনায় খুব কাছাকাছি থাকা,
তবু মিথ্যে নয় একই আকাশের নীচে আমাদের মুক্তির সংসার,
তবু মিথ্যে নয় একই বাতাসে আমাদের নিঃশ্বাসের নিত্য সঙ্গম ।