প্রতীক্ষার শূন্য পেয়ালায় পিয়াসী আগুন জ্বেলে তার জন্য
গোধূলির বিপ্রতীপে একাকী দাঁড়িয়ে ছিল সূর্যাস্তের ঘড়ি,
সব লুটে নেয়া শীতল রাত্রি গহ্বর লোলুপ প্রত্যাশায় ছিল
সাঁঝের অন্তিম ঘন্টার পক্ষপাতে আলোর সতীত্ব হরণের,
তখন নিভন্ত প্রদীপের শেষ জ্বলে ওঠার মত দিনের জন্ম
সার্থক করতে সে এসে দাঁড়ালো মৌনতার ব্যালকনিতে,
দূরে থাকার বিরহী অভিমান উপস্থিতির দুপায়ে মাড়িয়ে
চোখের বিদ্যুতে সে ঘুচিয়ে দিলো চাওয়া পাওয়ার ব্যবধান,
তার কালো চোখের নাব্যতা ছুঁয়ে দিয়ে একটি নরম নদী বয়ে
গেলো বালুকা বেলায় ফেলে আসা অপূর্ণ স্বপ্নের মোহনায়,
সব জমে থাকা হিসেব নিকেশে ভুল হয়ে জিতে গেল বিশ্বাস,
সব পুরনো বুড়ো নিয়ম ভেঙে ঘোষিত হল হৃদয়বৃত্তির বার্তা,  
ভালোবাসা জেনে গেলো এ সুখের কাছে বারবার ফেরা যায়,  
সংযম জেনে গেলো এ হাসির জন্য বারবার লুট হওয়া যায়,  
জীবন বুঝে গেলো এ নামের পিছুটানে বারবার ভুল করা যায়,
পৃথিবী জেনে গেলো এ মুখের মায়ায় বারবার জন্মানো যায় ।