বাংলা ভাষার অন্যতম গৌরবজনক একটি ঘটনা হচ্ছে মাতৃভাষা দিবস ২১ শে ফেব্রুয়ারি, এই দিনে মানুষ ভাষার জন্য প্রান দিয়েছে, পৃথিবীর আর কোন ভাষার নেই এই রকম সন্মানজনক ইতিহাস, সেই একুশে ফেব্রুয়ারী আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, আমাদের যা ভাল তা আমরা সবার সাথে ভাগ করে নিয়েছি, সবার সাথে এক কাতারে দাড়িয়েছি, এতে আমাদের সন্মান বেড়েছে, এরকম একটি আন্তর্জাতিক সন্মানের ধারক যে ভাষা তার দায়িত্বও যে অনেক, শুধু নিজের ভাষাকে ভালবাসলেই তা শেষ হবে না অন্য ভাষাকেও দিতে হবে মর্যাদা, ভাষাগত সংমিশ্রনে ভাষাও সমৃদ্ধ হয়, ভাষার শব্দ ভাণ্ডারে তৎসম, তদ্ভব ও বিদেশী শব্দের ব্যাবহার থেকেই এটি বোঝা যায়। বুকে বাংলা ভাষার জন্য অনাবিল ভালোবাসা নিয়ে তাই মিশে যেতে হবে ভাষা ও সাহিত্যের বিশ্বজনীন আসরে । বিশ্ব সাহিত্যের যে বিপুল ভাণ্ডার রয়েছে, বাংলা সাহিত্য তার সংমিশ্রনে এলে সম্ভব পারস্পরিক সমৃদ্ধি। বাংলা সাহিত্যের সব বড় বড় লেখকরাই বিশ্ব সাহিত্যের খুব ভালো পাঠক ছিলেন । তাই অন্য ভাষা চর্চা বা ভাষাগত সংমিশ্রণে লাভ বই ক্ষতি সাধন করে না যদি নিজের মূল্যবোধ ঠিক থাকে, কেউ কেউ আছেন নিজের ভাষাকে ঘৃণা করে অন্যের কোলে গিয়ে উঠেন, এরা দিকভ্রান্ত, যদি এদের ভেতর খাটি মানুষ থাকে, সাময়িক দিকভ্রান্ত হয় তবে একসময় মাইকেলের মত ঠিকই নিজের মায়ের কাছে ফিরে আসবে অন্যথায় তার কাজের ফল সে পাবে এতে ভাষার কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না । এদের কথা ভেবে ভাষাগত সংমিশ্রনে বাঁধা দেওয়ার পক্ষপাতী আমি নই। আমি সব রঙে নিজেকে রাঙাতে চাই, সমৃদ্ধ হতে চাই সব নক্ষত্রের আলোয় ।