বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা পতিত পুরুষকে শেখায় চরিত্রের উচ্চতা,
রাত্রির আঁধারের ভাজে থাকে আলোকিত হৃদয়ের খোঁজ
সত্যের সন্ধানে পায়ে চলা পথ হেঁটে যায় মিথ্যার বসতিতে,
বন্ধনের নাগপাশ সময়কে শেখায় মুক্তির যত ছলাকলা,
সম্পর্ক বাঁচে সকালের এক পাত্র চায়ের ধূমায়িত উষ্ণতায়,
অনায়াসে এক চুমুক নির্ভীক মৃত্যু পান করে কি করে
মেলে অনন্ত অমৃতে উৎসের সন্ধান সে নিগুঢ় রহস্য তবু
বরাবর অদেখাই থেকে যায় ভোগী জীবনের আয়নায় ।


হারিয়ে যাওয়া পথের কাছে থাকে ঘরের উষ্ণতার ঠিকানা,
ঈর্ষার কহর দরিয়ায় ডুবে যায় সফলতার উপেক্ষিত শরীর,
প্রান্তিক জনপদ অক্ষমতার অনুষঙ্গে জানে বৈভবের স্থূল দাপট,
অত্যাচারী মসনদের গাঢ় অন্ধকারে অসহায় চাপা পড়ে থাকে
বঞ্চিত নিপীড়িতের জন্য ন্যায়, সুবিচার ও নীতিকথার ঝুলি,  
নির্নিমেষ বাড়িয়ে দেওয়া এক আকাশ স্বপ্নের নীল সামিয়ানা
বাস্তবের কড়া রোদে নেড়ে দিয়ে সতীত্বের পথে সহমরণের
অনাবশ্যক চিতায় অকাতরে পুড়ে যায় ভালোলাগার জমিন ।      


প্রদীপের নীচের অবাঞ্ছিত অন্ধকার ম্লান করে আলোর মহিমা,
সে অন্ধকারই সবথেকে ভালো জানে আলোর বিচ্ছুরণ সীমানা,
আলেয়ার পিছু ধাওয়া করে কেবলই মেলে আলোর প্রহসন,
আলেয়ার প্রহেলিকাই আবার চিনতে শেখায় আলোর গতিপথ,
মরীচিকা যেমন সবচেয়ে ভালো বোঝে আকরিকের বিশুদ্ধতা,
হননের শীতল হাত ধরে উঠে আসে শূন্যতা পূরণের নতুন স্তম্ভ,
জন্ম মানে অবাক চোখ খুলে দেখা মুক্তির উদার আলোকমালা
অথচ জীবনের পায়ে বাধা সময়, নিয়ম ও নিয়তির ডাণ্ডা বেড়ি ।