পথের ধারে যদি পদ্ম ফোটে,
সে ফুটন্ত পদ্মশোভার সবটুকু
অধিকার কি একা পথের জোঠে  ?
যার চোখ আছে সেই করে দৃষ্টিদান,
যার হাত আছে সেই হানে স্পর্শবাণ,
পথ ও পদ্ম দুজনেই বড় অসহায় ।


ঝিলের জলে যদি শালুক হাসে,
ঝিল কি সে শালুকের মালিকানা যাচে ?
দশের সেবায় উৎসর্গিত সে শালুক ধন,
সে শালুক মেটায় ক্ষুধিতের দৃষ্টির ভোগ,
সে শালুক নেভায় চাতক বুকের তৃষা,
এ দান রচে ঝিলের মহত্ত্বের উপকথা,
এ ত্যাগেই শালুক পায় পরিনতির পূর্ণতা ।


রাতের আকাশের বুকে যে চাঁদ ভাসে,
সে জোৎস্ন্যা তো সারা পৃথিবী সাজায়,
প্রেমিক চাদকে তার আকুতি জানায়,
কবি তাকে নিয়ে তার কাব্য সাজায়,  
আকাশ বা রাত কি তাতে বাধ সাধে ?
আলোদান করেই চাঁদ হয় রাতের রানী ।


হে নারী, হে প্রেয়সী, হে সুকন্যা, হে শ্রেয়সী,
তোমার প্রেম কি অবারিত আকাশ নয় ?
তোমার সৌন্দর্য কি প্রসারিত প্রকৃতি নয় ?
তবে কেন তুমি নিজেকে লুকাও শত ছলে ?
কেন অধরা থাকো প্রেমিকের বাহুডোরে ?    
তুমি সবুজ প্রকৃতির মত মুক্তপ্রান হও,  
তুমি নীল আকাশের মত উদার হও,
তোমার যা সুন্দর, তোমার যা শাশ্বত,
সম্প্রদানে পূর্ণ হোক তোমার সৌন্দর্য উপমা,
ত্যাগে বেড়ে যাক তোমার প্রেমের মহিমা ।