কাকবতী,  তোমাকে ভেবে পালা বদলায় দিনরাত্রির গতি,  
তোমার শোকে গভীর অরন্যে নির্বাসিত সব পাগলাহাতি,  
তুমি বললে কথা কেমন করে তা হয়ে যায় ফ্রাইড কবিতা,
সে কবিতায় নাই বা থাকুক কোন দাড়ি কমা আগামাথা,
সে কবিতার গায়ে না থাকুক উপোষী কোন দুঃখ জামা,
প্রেমিক তোমার সব শর্ত মেনে করে দেয় নির্বোধ ক্ষমা ।  


কাকবতী,  তোমার নাকের তিলে হারায় সন্ধ্যার অরুন্ধতী,
তোমার কষ্টে ব্যবসায় ধরা খেয়ে মহাজন মেনে নেয় ক্ষতি,  
তুমি কাদলে চোখের জলে কেমন করে যেন হয়ে যায় রাত,
রাতের সাথে হয় তোমার যত চালচুলোহীন ভাবের আবাদ,
সে ভাবের যদি নাও বা থাকে কোন ইহজাগতিক মাথামুন্ডূ,
তবু তাকে যে অর্থহীন বলবে সে প্রেমিকের চোখে পাষণ্ড ।


কাকবতী , তুমি পটে গেলেও পৌষ মাসের হবেনা বন্যা প্রীতি ,  
তোমার জন্য পালা পার্বণে ঘরমুখী মানুষ সয়ে নেয় সব দুর্গতি,  
তুমি হাসলে রাত দুপুর কেমন করে যেন সে হয়ে যায় ভোর,
তুমি হাসলে তাই বিপদে যায় পড়ে রাতের সিঁদকাটা চোর,
হাঁসি তোমার যেন বৃষ্টিশেষে কাদাভেঙে কাঁচা মাছের বাজার,
সে হাসিতে প্রেমিক খুঁজে পায় হারানো গুপ্তধন সাত রাজার ।