তুমিময় ভাবনায় উত্তরীয় হাওয়া,
পথ মানে পা বাড়িয়ে তোমার দিকে যাওয়া,
পথের বাকে গুমরে কাঁদে উথাল পাথাল স্মৃতি,
অন্তহীন চলার সুখে সময় টানে গন্তব্যের যতি,  
ইশারার হাত বাড়িয়ে ডাকে অরন্যের আশ্রয়,
তোমার কোলে থাকুক জমা কিছু যৌথ সুখ সঞ্চয় ।


মুগ্ধবোধের ক্ষয়ে আসা মাতাল আয়ু শেষে
সূর্যস্নাত দিনের ঘড়ি ডেরায় ফেরে হেসে,
বুকের কাছে জমে থাকে সাগরবেলার নুড়ি,
শুন্য চোখে বিষাদ ঢালে অমানিশার বুড়ি,
নির্ঘুম রাত্রি তোমার দীঘল মহাকাল চুল,
আঁধারের খোঁপায় গোজা কিছু ফুলের ভুল ।


বিরহ দহন খোঁজে আত্মসমর্পণের স্খলিত সুখ,    
নৈকট্যের শীতল আগুন পোড়ায় তোমার মুখ,
দূরে গেলে তোমার না থাকা হয়ে যায় চাঁদের অসুখ,
কাছে এলে ঝড় হয়ে আসে যত শারীরিক ধুকপুক,      
তুমি মানে তোমার শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে আত্মার খোঁজ,
তোমায় চাওয়া হয়না শেষ পেয়েও তোমায় হররোজ ।