আলতা রাঙা চরণ,
আমায় করে হরণ,
ঐ চরণ ভোলায় দুঃখের স্মরণ,
একদার আলতার হাভাতে লাল আজ আর
আধুনিকার পেডিকিউর করা পায়ের সাথে যায় না,
তবে আমি কার কাছে আজ দেব বিসর্জন ?
আমার অনাদায়ী দুঃখের রাত্রিগুলো তবে কি
সুদে আসলে বেড়ে বেড়ে মহাকাল হয়ে যাবে ?


কাজল আঁকা চোখ,
নেভায় আমার সব দুঃখ,
ঐ চোখ করে যত শোক নির্বাক,
শেকড়হীন প্লাক করা হিসেবী চোখে
মোহন কাজলের কালো আজ শুধুই গ্রাম্যতা,
তোমাদের এই মেদহীন মরু নগরে আমি
কোথায় লুকাবো আমার কান্নার সঞ্চয় ?
আশ্রয়ের খোঁজে কি কেটে যাবে চাতক জীবন ?


বৃষ্টিতে ভিজলে শাড়ী,
মানায় ভালো নারী,
মন ভেজায় আঁচলের ওড়াওরি,
বহুগামী আকাশ সংস্কৃতির হৃদয়হীন আয়নায়
শাড়ীর সাড়ে পাঁচ হাত দৈর্ঘ্য বড় জট বাধায়,
এই বর্ষায় আজ মন ভেজানোর সুখ কে দেবে আমায় ?
কোন আঁচল মোছাবে আমার কষ্টের নীল ?
কোন নারী হবে আমার মায়ের উত্তরসূরি ?


ধানসিঁড়ি মন,
ডাকে আমায় সারাক্ষণ,
ঐ নদীটি আমার বড় আপন,
ধানসিঁড়ির নদীভাঙা মানুষের হাড়ের সমাধি
জুড়ে আজ শুধু চর দখলের নষ্ট হানাহানি,
আমি কি করে আজ আর একবার
বুঁদ হবো ঘরকাতর পিছুটানের নেশায় ?
নিজের বলে আমার যে আর কোন নদী রইল না ।