না পাওয়ার অচিন ব্যাথা,
অজানা অপরিচিত মুখ,
অথবা অধরা ঘুমঘোর কল্পসুখ,
কখনো কি অকারণে ভাঙে মানুষের বুক ?
কখনো কি চোখে আনে আজন্ম তৃষা ?
কখনো কি বুকে হানে চাতক নেশা ?
পেয়ে হারানোর গহীন ব্যাথা,
পর হয়ে যাওয়া ক্ষণিকের স্বজন,
অথবা মজ্জাগত চেনা সুরের মত ?
এক জীবন বিগত হয়ে গেলেও
শত কোটি মানুষের ভীরে  
যদি অন্তিমে অচেনাই রয়ে যায়
সবচেয়ে যে আপনার জন হতে
পারতো এরকম কোন মানুষের মন ?
যদি বিদায় বেলায় আজানা থেকে যায়
দুঃসহতম যন্ত্রনা অথবা প্রিয়তম সুখ,
এক জন্মে মানুষ কি কখনো পায় সে নির্ণয় ?
এক একটা জন্ম যেন মুহূর্তে জ্বলে ওঠা
এক একটি দেয়াশলাই কাঠি,
আঁধার আলোর সন্ধিক্ষণে জ্বলে ওঠার আগে
সে প্রায়শই জানতেই পারে না
কোথায় তার আলো জ্বালবার কথা,
অথচ কোথায় সে আলো ছড়াচ্ছে,
আগুনে আলো বিলিয়ে নিঃশেষে নিভে যাবার
জন্যেই জ্বলে ওঠে প্রতিটি দেয়াশলাই কাঠি,
কেউ কেউ ধূমপায়ীর নেশাতুর হাতে অজান্তে
নিকোটিন বিষে জ্বলে জ্বলে খাক হয়ে যায়,
কেউ কেউ হয়তো বা অনাহারী মুখে
অন্ন তুলে দেবার আকুতিতে জীবন বিলিয়ে দেয়,
আবার কেউ কেউ হয়তো জালিয়ে যায়
শাশ্বত চেতনার অবিনাশী শিখা অনির্বাণ ।