প্রিয়তমা, না এটা আসলে কোন কবিতার এপিটাফ নয়,
এটা নয় কোন পাতানো শব্দ বীজের অলীক ছায়ানট,
নিয়তির বেলাভূমিতে আমি ক্রমাগত লিখে চলেছি তোমাকে,
তোমার তোমাকে, আমার তোমাকে, একাকার বানভাসি সুখে,
আমি দুহাতে বেঁধেছি ভালোবাসা, আমি বুনে চলেছি মহাকাল,
চোখের সৃষ্টিতে, মনের বৃষ্টিতে, ভালোবাসার দৃষ্টিতে,
তোমার ঝর্নাতলায় ধরে রেখেছি প্রথম কৈশোরর রেণু,
তোমার মুখ আমার স্বপ্নের আকাশ নীলে ওড়া রামধনু,
না না, এ নৈবেদ্যে তুমি এমন কালবোশেখি হেসো না,
এলোকেশে এমন বেপরোয়া মাতাল সমীরণ এনো না,
তুমি খুব ভালো জানো, জানো তোমার হাসির দমকে
আমার কবিতার পাতাগুলো কেমন পুরুষ হয়ে ওঠে,
তোমার দীঘল চুলের গোপন মৌ ডাকে কেমন করে
ঈর্ষাকাতর হয়ে ঝুল বারান্দার বাড়ে রাতের বয়স ।


প্রিয়তমা, তোমার বাঁকা অধরের শতদল মেঘমালায়
আজ আবার খেলা করুক সেই পুরনো বৃষ্টির ভ্রূকুটি,
তোমার চিবুক ছুঁয়ে বয়ে যাক রহস্যের উদ্ধত নদী,
তোমার প্রলম্বিত আঙ্গুলের অহম আজ স্পর্শ করুক
আমার পরাজিত মধ্যপ্রদেশের না বলা সেইসব অন্ধকার,
চিবুকের শয্যা থেকে দু কদম বেড়ে সুডৌল ধুকপুক,
সেখান থেকে আরও কিছুটা নেমে বিশ্বাসের ঘাসজমিন,
অন্নদাতা কৃষকের ঘর্মাক্ত সৃষ্টির ইতিহাস অধিকারে নিয়ে
আমি তোমার আলিঙ্গনে আদিগন্ত লুট হয়ে যেতে চাই,
আমি কুলভাঙা কান্নায় নিঃশেষে নদী হয়ে যেতে চাই ।

প্রিয়তমা, সারস চোখের আরশিতে আরেকটু আগুন জ্বালো,
এই তৃষিত বুকের যমুনায় ভাসাও তোমার সর্বনাশের ভেলা,
তোমার অপাপবিদ্ধ ঠোঁট ছুঁয়ে যাক আমার লবন সীমানা,
হাতে হাত রেখে চলো যুগলবন্ধী আমরা ক্রমশ ঢুকে যাই
ভালোবাসার অনন্ত কবিতার শরীরে, ভীর থেকে গভীরে,
চলো তুমি আমি মিলেমিশে হয়ে যাই আজ জীবন্ত কবিতা,
নষ্ট বিস্ময়ের বিপরীতে আমরা হয়ে রই আরেক কিংবদন্তী ।