বিভাবরী,
তোমার অধিকারে আগলে রেখো ঈশ্বরের জন্মদাগ,
মানুষের নামেই বরাদ্দ পাক নশ্বরের সব মুদ্রাদোষ,
আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠুক আরেকটা মন্বন্তর,
ভুলের সংবর্ধনায় সম্ভালার চোখে নামুক লবন নদ,
ভাঙন যন্ত্রনা দিতে ফিরে ফিরে আসুক ধনুষ স্বপ্ন,
সাম্রাজ্যের পালাবদলে খুলে যাবে নিষেধের জঙ্ঘম,
সুযোগের সন্ধানে রয়ে গেছে সুসময়ের কুশীলব,
ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে নিষিদ্ধ হাতছানির বয়স,
মলাটের গর্তে ফণা লুকিয়ে বাঁচে হাসিমুখ সংকলন,
কঠোর অনুশাসনের মুঠোবন্দী সব খয়েরী স্তনবৃন্ত,
উন্নতির দামে ক্রমশ উন্মোচিত সভ্যতার যোনী,
পারদের ঘনঘন উঠা নামায় ক্লান্ত সম্পর্কের আয়ু ।


পরিযায়ী,
আকাশ বদলালে সাথে বদলে যায় জরাসন্ধের হাসি,
জন্মান্তরের রেলে একই কোরাসে ভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী,
কত পথ গেলে মুছে ফেলা যায় নিয়তির বলিরেখা ?
কোন সাধনমন্ত্রের বাণে বদলানো যায় রক্তের লাল ?
কোন পাতালঝড়ে ভালবাসার পাশা উলটে যায় ঘৃণায়,
একুশের সেই চিরল উষ্ণতা কোথায় হারালে জনান্তি ?
কোথায় জসদের সেই সোনালী ফিনিক্সের আগুন ডানা ?
বিপদজনক দূরত্বে চেনা হাসি কেঁপে ওঠে মিথ্যের ঠোঁটে,
কবিতার পরিত্যক্ত খাতাজুড়ে শুধু তুমি নেইর শবযাত্রা,
সমুদ্রের দূরত্ব মাড়িয়ে আগুনপোকা ফিরে গেছে আগুনেই,
গোলমেলে ঘনিষ্ঠতায় বাস্তহারা সব হারানো চোখের মোহ,
কাঁটাতার বুকে আর কতোটা কাছাকাছি আসা যায় মহাকাল ?