রূষা, তুমি কোনদিন নদী হতে পারলে না,
যার অতল জলের মত গভীর কালো চোখ,
যার টলটলে স্বচ্ছ মনের মত একটি মন,
যার বুকে ডুব সাঁতারের কাটাল স্রোত,
যার জঠরে সময় রচে জীবনের শ্লোক,
যার বহতায় নারীর অমন চটুল গতিবিধি,
খুব গহীন উজান ভাটির তুমুল একটি নদী।


রূষা, তুমি কোনদিন নদী হতে পারবে না,
যে নদীর মোহনা অভিমুখে বয় নিরবধি,
যে নদী অবিরত ভাঙে গড়ে সভ্যতার কুল,
যে নদী বাঁচিয়ে রাখে চির সবুজ স্বপ্ন,
যে নদী চিরদিন নিঃশর্ত সাগর অন্তপ্রান,
যে নদীর প্রানে বাজে ভালোবাসার গান,
যে নদী নারীর মত বোঝে মান অভিমান।


নিয়মের তুমুল খরায় আমার ভেতরের
কুর্চি নামের সবুজ বনভুমিটি আজ মৃতপ্রায়,
একটু উদার আলো হাওয়া জল পেলে
সেও ফোঁটাতে পারত সুখের রক্ত মুকুল...
রূষা, আজ ব্যালকনি বিহীন বদ্ধ ঘরে
উদ্যাম সহবাসকে আমরা জীবন নামে ডাকি...


উৎসর্গঃ বুদ্ধদেব গুহ