শিমি আসলে কোনো নাম নয়,
সে নিঃশ্বাসে ছড়িয়ে যাওয়া এক সংক্রামক সময়,
যার গন্ধে মগজে জন্ম নেয় কোমল বিভ্রম,
হৃদয় শিখতে চায় অধিকারের পাটিগণিত,
সে দুচোখের সাদাকালো মানচিত্র জুড়ে
ফুটে ওঠা বৃষ্টি ছাওয়া এক শুভ্র অবকাশ।

বিকেলের ব্যালকনিতে জমা বিস্ময়ের পাশে দাঁড়িয়ে
একদা এক শিমি হেসে বলেছিল,
"ভালোবাসা মানে নৈঃশব্দে হারিয়ে যাওয়া,"
তার কথা বেদবাক্য মেনে সেদিন,
আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম ঠিকানা বিহীন।

শিমি ছিল ভোরের কুয়াশার মত পেলব,
সে কেবলই অনুভূতির আলোড়ন নয়,
তবুও সে ধরা দিতো না, ছোঁয়া যেত না কখনোই,
তার নখে ছিল নীলরঙা সমুদ্র বিলাস,
আর গোলাপি ঠোঁটের লাজুক আমন্ত্রণে
ছিলো এক জীবনের নিমগ্ন বসন্ত দহন৷

ব্যাথাতুর স্মৃতি ভুলিয়ে দেওয়ার ছদ্মবেশে,
আরেকবার শিমি ফিরেছিল ভিন্ন মানুষ হয়ে,
তার চাউনিতে ছিল যন্ত্রণা বিলাসের উস্কানি,
আমার দিনরাত্রি সে করে দিয়েছিল ব্যাকরণ হীন।

শেষ বার সে ছিলো এক গাঢ় জলপাই রঙের বিষাদ,
ঘুমের চোখে চোখ রেখে দেখা অলিক স্বপ্নের মতো,
সে বার আমিই ফিরিয়ে দিয়েছিলাম
তার আত্মসমর্পণের নিস্তরঙ্গ বালুকা বেলা ৷

শিমি নামের এক মায়া অসুখের খরতাপে
আজও পোড়ে বহু মথিত হৃদয়,
দিন শেষে প্রতিটি ছায়াঘন নীল সন্ধ্যায়,
তারা চায় আবার ফিরে যেতে
শিমির বুকের শহরের অক্ষাংশে,
যেখানে উড়নচণ্ডী প্রেম মানে,
একটু মৃদু ছোঁয়া, হাঁসি, খুনসুটি
সফেদ স্কার্ট পরিহিত বিকেলের বিপরীত ব্যলকনিতে
দাঁড়িয়ে থাকা সমর্পণের গ্রহণ দায়  ।

শিমি একেকজনের একেক বিস্ময়,
কারো নিছক সাদাকালো মেটাফোর,
কারো আবার রক্তের উষ্ণ লাল দাগ,
আমার অবাধ্য চিবুকের কাছে সে
এক আবছা মন খারাপ করা অনুপস্থিতি,
এক জোড়া নেশাতুর কাজল চোখ,
ঠোঁটে যার অপরাহ্নের আগমনী সেতার,
সব মিলিয়ে সে একটা ভুল আরাধনা,
প্রিয় অসুখ হয়ে বেঁচে থাকা আসমুদ্র হিমাচল৷