চলতেছিলাম পৃথ্বীর পথে আমার সাথে কে রে,
ভাবনা আমার চলছিল যে ভাবছি গেছি হেরে।।
চোখের পটে শূন্যতা যে একলা থাকার গীতি বাজে,
ভাবছি আমি একেলা পথ পারি দেবো ঘেরে।
পথের 'পরে সঙ্গী যে নাই আছি একা জেরে।।
পথে ছিলো বাছুর, গরু আর ছিলো যে শ্বাপদ,
হিংস্র সাপে ছোবল মারে ভাবি সকল আপদ।।
অমন পথে চলতে যেয়ে খুঁজি আমি পথের নেয়ে,
নিলো সকল মানুষ পথে আমার হতে কেড়ে,
তাই বুঝি শ্বাস ছাড়ি আমি নিনাদ ঘাতে ছেড়ে।।
নিজের শ্বাসে নিজে কাঁপি একলা আছি ভয়ে,
আঘাত যদি হানে শ্বাপদ চলবো কিরূপ সয়ে।।
ডাকছি তাঁরে ব্যাকুল স্বরে যে দিয়েছে একলা করে,
তা ছাড়া আর উপায় নাহি বুঝেছি আজ নেড়ে।
তাই চলেছি কদম ফেলে পথের 'পরে বেড়ে।।
অমন সময় একটি সাপে আসে সমুখ পথে,
তার চোখেতে বিষ যে মাখা ছুটি না যে স্রোতে।।
ভয়ে আমি কাঁপছি বেগে যাবো সমুখ কিরূপ ত্যাগে,
ভীতি আমার মন কেড়েছে আসে সাপে তেড়ে।
তখন দেখি একটা বেজি আসে পথে পেড়ে।।
গা ছমছমে যুদ্ধ দেখি চলছে বেজি; সাপে,
পার করি তাই আমি বেগে সমুখ পথের চাপে।।
দেখিনা আর শেষ সীমানা আবার কি রে করবে হানা,
অন্য কোন শ্বাপদ এসে ঘেতে যাবে মেরে।
বুঝিনি আর তখনো যে আছি বেঁচে ফেড়ে।।
আমি যেন ফেরারি এক পাখির বেশে ছুটি,
আসেনি আর সমুখ বিপদ মন চরণে লুটি।।
তাঁর চরণে ঠাঁই পেয়েছি সারা জীবন তাই চেয়েছি,
ফিরবোনা যে পিছন পথে ফেরারি কি ফেরে!।
আমার মনে সে রয়েছে ছুটছি সে পথ লেড়ে।।