কাহার তরে যাবো আমি    চলছে যুদ্ধ খেলা,
ভাসাই আমি রক্ত স্রোতে আমার স্বীয় ভেলা।।
সমর পানে নাই যে অসি        লাঠি লয়ে যুদ্ধে বসি,
গোলাবারুদ চলছে বুকে অরির অসি মেলা।।

কতো জীবন গেলো দেখি চোখের সমুখ সুখে,
হেসে হেসে বিলালো প্রাণ মরতে আছে ভুখে।
বলছে তারা তাঁহার তরে    বেহেস্ত পাবে মৃত্যু পরে,
সেই খুশিতে বিলালো প্রাণ নয় তারা একেলা।।

আমি তাদের দলে ছিলাম আছি আজো খুবে,
দেখছি চোখে লাশের বহর তাতে গেছি ডুবে।
ক্ষণে ক্ষণে মিসাইল হানে    দেখি কৃষ্ণ দূর আসমানে,
দেখিনা যে দিবস বুকে সূর্যের আলোর ঠেলা।।

আপন রুধির আপন গায়ে পরের রুধির মাখি,
আজ কি তবে জগত ধাতা মেলেনি তাঁর আঁখি।
ভাবছি বসে লাশের উপর    দেখছি চোখে অরির বহর,
কামান চলায় বিমান দ্বারা আমরা ছুঁড়ি ঢেলা।।

আত্ম বলের কথা বলি কেমন করে আজো,
চোখের সামনে ধু ধু জমিন রুধির যে বিরাজো।
দালান সকল ভেঙে গেলো    লাগে সকল এলোমেলো,
আছে কিছু জীবন ধাতার আশে কদম ফেলা।।

যুদ্ধ থেমে হয়তো যাবে প্রাণ কি ফিরে পাবো,
কেমন করে আমার ছেলের হাসি সুরে গাবো।
হারিয়ে গেছে আত্ম স্বজন    শুনিনা যে পাখির কূজন,
পাখি সকল বুঝি যে আজ হলো বোমার চেলা।।

বেঁচে আছি যুদ্ধ যে শেষ আছি একলা বেঁচে,
ভাবছি আমি কোথায় ধাতা নাকি ঘুমে গেছে।
তখন ভাসে মনের ধ্বনি    অন্বেষণের আস্থা মণি,
খোঁজ করিনি আপন যুদ্ধে গেয়েছি পহেলা।।

হয়তো তাঁরে ডেকেছি ঠিক মুখস্ত সেই বাণী,
আপন যুদ্ধে খুঁজিনি আর পরের গীতি টানি।
জ্ঞানের খোঁজা ছিলো অচল    করেছি আলস্য সচল,
পরোক্ষতায় করেছিলাম তাঁরেই আমি হেলা।।