যাবো যাবো অচিন পারে দেখতে তাঁরে আমি ভারে,
হয়নি দেখা আজো আমার এ পৃথিবী চোখের দ্বারে।।
নাউ ছুটালাম নিজের সুখে       আছি আমি প্রবল ভুখে,
অন্ধকারের হাস্নাহেনা ডোবে জানি নিজ আঁধারে।।
শিউলি ফুলের ফোটা দেখে যেজন জাগে রাত্রি তরে,
আমি যে আজ জাগবো রাতি জমিতে বা সরোবরে।
দেখবো তাঁরে চোখের 'পরে     দু'চোখ কাঁদে অন্ধ করে,
আমার তরী চলছে বেগে অন্ধকারের আপন সারে।।
চলতে পথে ঘ্রাণ পেয়েছি চাঁপা ফুলের তাজা গন্ধ,
বুঝেছি আজ ফাগুন এলো হিয়া পোষে নিজ আনন্দ।
আরো দেখি আকাশ হতে        ঝরে বকুল প্রবল স্রোতে,
সেই সুবাসেই স্রোতস্বিনী জাগছে বেগে অন্ধকারে।।
ঢেউ এসেছে উজান দেখে চাঁদের সাথে নিচ্ছি আড়ি,
ফিরবোনা আর আমি এখন সমুখ যাবো নহে বাড়ি।
তারারা সব পথ দেখালো       মেখে নিলাম ক্ষীণ আলো,
অচিন পারের খোঁজে চলি আমার জন্ম যেথা হারে।।
মধুর ফাগুন লাগায় আগুন চণ্ড বেগে আলো দিতে,
খুঁজে চলি এই পৃথ্বীতে আমার আপন প্রাণের মিতে।
চলছে তরী আপন বেগে    জানিনা আর কিসের ত্যাগে,
দেখেছি সে অচেনা পার আমার চোখে ভাসে পারে।।
কাছে গিয়ে দেখি আমি আলোক খেলে ভীষণ তানে,
মন্দ্রিত এক সুর জেগেছে আসে ছুটে চোখের বানে।
হারিয়ে ফেলি নিজেরি খেই      সেথা দেখি আনন্দ নেই,
তবু আছে আলোর খেলা খেলছে কেবল স্বীয় ধাঁরে।।
আরো কাছে গিয়ে আমার তরী পরে ঝড়ের কোপে,
হটাৎ দেখি আলো মিলায় অমা আসে আত্ম ঝোপে।
চোখ বুজেছি চোখের ভাষে     আমার নিজের সর্বনাশে,
চিনেছি হায় কোথায় এলাম আমি চিনি এ আমারে।।