কোথায় তোমার রহস্য ভেদ কোথায় তোমার চূড়ার খেলা,
ভাবছি আমি একান্ত মনে ভাসাই আমার ভাবের ভেলা।।
চারদিকে রয় অকূলপাথার    শ্বাপদ ভর্তি আমার আধার,
জ্ঞানের আলোক কালো মেখে হায় রাখে আমায় আজ একেলা।।
পারছিনা আর করতে সে ভেদ যেথায় তোমার আসর মেলা।।

কেউ কিবা পারে করতে সকল এক জীবনের মাখলো ভাতি,
কেউ কবি হয় কেউবা আবার পেশার জোরে ছড়ায় ছাতি।।
নানান রঙের ঢঙ মেখে সব    মানুষ কেবল করে কলরব,
জাতের আবার গড়ন গড়ায় জাতের দাপট কেবল গেলা।
পারছিনা আর করতে সে ভেদ যেথায় তোমার আসর মেলা।।

মানুষ কেবল ব্যস্ত অধুনা নিজের রঙের সুযোগ মেখে,
ছাড় দিয়ে কেউ যায়না ভুবন নিজের জন্য পুলক চেখে।।
ভাবেনা আবার তোমার জন্য    পশুর থেকেও মানুষ বন্য,
স্বার্থের লাগি মানুষ দেখেছি হয়েছে অধুনা মারের চেলা।
পারছিনা আর করতে সে ভেদ যেথায় তোমার আসর মেলা।।

কেমন করে বা পারবো আমার আমিও জগত মানুষ আছি,
তাদের মতন আমি যে অধুনা আমার স্বার্থ কেবলি বাছি।।
তাই বুঝি ওহে রঙ মেখে সঙ    করে চলি আজ আপনার ঢঙ
অকূলপাথার আসছে আমার গায়ের চামড়া হচ্ছে ছেলা।
পারছিনা আর করতে সে ভেদ যেথায় তোমার আসর মেলা।।

আমার কেবল তাই মনে হয় ঝুলছে তোমার বাসস্থানে,
পৃথ্বীর মতন তোমার আবাস নয় জানি ওহে নয় সে গানে।।
তোমার রাগিণী অন্য রকম    সাজায় সকল মানুষের ক্ষম,
আবার গড়ছে মানুষের মন যখন তোমার জন্য নয় পহেলা।
পারছিনা আর করতে সে ভেদ যেথায় তোমার আসর মেলা।।

আমার চলন আজ বাঁকা তাই রয়েছে মানুষ মারের ছায়ে,
হটাৎ হটাৎ আজ আমি তাই তাদের মতন চলছি পায়ে।।
পাপের জন্য মানুষ রূপের    মাখলে হে তুমি শয়তান ঢের,
তাড়িয়ে চলেছি শয়তান আজ হৃদয়ের হতে মারকে ফেলা।
পারছিনা আর করতে সে ভেদ যেথায় তোমার আসর মেলা।।

বোঝার ব্যাকুল বাসনা আমার চিনতে চাইছি তোমার ছায়া,
এই পৃথিবীর সকল কিছুই লাগছে আমার বিভ্রম মায়া।।
দোটানাতে মন গাইছে রাগিণী    নিজ মনে হয় এখনো জাগিনি,
আমার নিদ্রা কখনো কি আর ভাঙবে আবার আপন বেলা।
পারছিনা আর করতে সে ভেদ যেথায় তোমার আসর মেলা।।