মৃত্যু তোমার কোন হাতে হে কোন হাতে হে প্রাণ,
কেন এতো বিশাল করে দিলে হে আসমান।।
আবার দিলে মানুষ সেরা    কোথায় আছে আর সে ডেরা,
পৃথ্বীর বুকে আঁকলে মানুষ দিলে বাসস্থান।
কেন এতো বিশাল করে দিলে হে আসমান।।

জ্ঞানের ধারা দেখে মানুষ আঁকে তোমায় নিতি,
তোমার প্রতি আছে কারোর অগাধ মনের প্রীতি।।
ঝঞ্ঝা দিলে আপন সুরে            আমার হৃদয় তা যে পূরে,
ভাবছি আমি ভাবনা আমার কেঁপে উঠে জান।
কেন এতো বিশাল করে দিলে হে আসমান।।

আকাশ ভরা তারা দেখি ছুঁইতে পারি নাকো,
ছায়াপথ আর নীহারিকা কেন বিশাল আঁকো।।
মরীচিকার আঁধার দিলে    চোখ মুদে হায় তাই যে মিলে,
মেলিলে চোখ দেখি আলো সাথে আঁধার তান।
কেন এতো বিশাল করে দিলে হে আসমান।।

মৃত্যু তোমার যে হাতে থাক জীবন দিলে দেহে,
তোমার হাতে রাখলে কিছু বাকি দেহের গেহে।।
মতি দিলে করলে তফাৎ    আবার দিলে দুখের আঘাত,
সকল প্রাণের থেকে ফরক করে দিলে দান।
কেন এতো বিশাল করে দিলে হে আসমান।।

ভাবছি আমি আকাশ তথা বিশাল সমারোহে,
দেখছি শুধু জগতে সুখ আছে মানুষ মোহে।।
যারা ভাবে তোমার সৃজন    করবে শুধুই প্রাণে কূজন,
বোঝেনা আর মৃত্যু তাদের বোঝেনা তার ঘ্রাণ।
কেন এতো বিশাল করে দিলে হে আসমান।।

এক জীবনে কি বা আবার দেখবো আছে বাকি,
দেখিনি যে মানব সৃজন তাই যে হৃদয় ঢাকি।।
আকাশ তারা যেটুক দেখি       তুলনাতেই সকল মেকি,
বাকি আকাশ দেখার বাকি তাই কাঁদে মন খান।
কেন এতো বিশাল করে দিলে হে আসমান।।

জিজ্ঞাসি তাই সকল কথা অদেখা সেই তারা,
তোমায় দেখা হবে জানি আসলে দেখার সারা।।
হয়তো তুমি সব ছাড়িয়ে          দিয়েছ হে হাত বাড়িয়ে,
মৃত্যু সেথায় লিখা আছে নেই তো কোন ভান।
কেন এতো বিশাল করে দিলে হে আসমান।।

মাটির দেহ কুঁচকে যে যায় বয়স বাড়ার সাথে,
চাইনা আমি হতে বুড়ো আমার বয়স ঘাতে।।
অথচ সব চলছে নিতি       থামাতে নেই আর সে গীতি,
রহস্য তাই মেখে দিলে করবো মরণ পান।
কেন এতো বিশাল করে দিলে হে আসমান।।

উদ্ঘাটনের প্রয়াস আমার নিত্য এঁকে চলি,
মনে আমার ঝড় উঠেছে সত্য কথাই বলি।।
মীমাংসা আর পাইনা খুঁজে       জীবন মাঝে বাঁচি যুঝে,
বিশাল আকাশ চেয়ে আছে খুলেচি চোখ কান।
কেন এতো বিশাল করে দিলে হে আসমান।।

আজ বুঝেছি সকল কিছু তোমার মতো নভে,
অদৃশ্য এক রহস্য যে আছে আমার ভবে।।
এক মানুষের এক আঁখিতে    যায়না পারা সব চাখিতে,
যেটুক পারি দেখতে চেয়ে কাঁদে দুই নয়ান।
বুঝেছি আজ বিশাল কেন দূরের ঐ আসমান।।