ওগো কে তুমি রুপের রাণী, মায়াবিনী, মনহরিনী
চপল, চঞ্চল মৃগের মত চাহুনী
ঝর্ণার দূর্বার গতি তব হাস্য ধ্বনী।।
মম হৃদয়ে বাসা বেধে কোথায় উড়ে যাও,
ক্ষন তরে দাড়াঁও, মোর কথা শোনে যাও।
তুমি যদি মোর প্রিয়া হউ-
তবে তোমারে সঙ্গে করি,
পাড়ি জমাইব প্রেম সাগরে হইয়া প্রেমাদ্রী।।
তব প্রেম তরীর আমি হইব যোগ্য কান্ডারী
মোদের প্রেম সাগরে মজিতে চাহিবে সমগ্র সৃষ্টি।
মোর নয়নে তুমি হুর পরীদের রাণী
তোমারে ঘিড়িয়া তাহারা নৃত্য করিতেছে অবনী।।
হরিয়াছ মম এই মন করি করি কী এখন-
তুমিই বলনা মনহরি মঞ্জুরী।
তুমি মোর কল্প মানস প্রতিমা-
তুমি মোর দেবী, আমি তব পুজারী।
অঘ্রণ রুপে দিলাম মম ভালবাসা-
তুমি গ্রহণ করিয়া পুরাও এই সন্যাসীর আশা।।
কল্প ভূ স্বর্গে মোর তুমি হইলা রাণী
তোমারে লইয়া আমি, মোর ভূস্বর্গ গড়ি।
কত শরাবের নদী,কত দুগ্ধ নদী,কত রঙ্গীণ ফৌয়ারা
আমারী রাজ্যে চীর বসন্তের বাতাস নাচে চন্দ্রকলা।
রাজ্যের চৌদিকে মোর হিরা,মনি-মুক্তার পাহাড় দিয়ে ঘেরা,
ভিতরে রহিয়াছে কত ফুল-ফলের বাগিচা।
রাজ্যের মধ্যস্থলে মোর রাজ প্রাসাদটা-
মনি-মুক্তা,হিরা জহরত চুন্নি পাথর দিয়ে গড়া।
১লা চন্দ্রাকৃতি মোর প্রাসাদ শিখর
যাহার মাঝে তুমি- আমি বসি প্রেম খেলা খেলি
রাজ্যের প্রজার সুখে ফলমূল খায়-
ফুলমালা গেথে আমাদের দেয়,
এমনি আনন্দে ভাবিয়া-
কী সুন্দর রাজ্য গড়ি তোমারে লইয়া।
কেন তুমি ভেঙ্গে দাও মোর কল্প ভূস্বর্গটা?
তুমি যদি মোর প্রিয়া হউ,তবে-
ঐ স্বপ্নের ভূস্বর্গ হইবে মোর ছোট্ট কুটির ঘরটা।।