এই কবি....
শহরটা আজ হঠাৎ থমকিত কেন বলতে পারো?
পদ্মাবতীকে নিয়ে আর কত শত  কবিতা লিখলে তোমার কবিতা লেখা শেষ হবে?


কবি এই কবি শুনতে পাচ্ছ?
হুম শুনতে পাচ্ছি...
কেমন করে জানবো আমি আলো আঁধারে প্রেমের স্মৃতি
ভাবনার তরীতে ডুবে আছি বৌদ্ধা পাগল সেজে।


মস্তিষ্কের স্নায়ুরেখা যতকাল সুস্হ রবে
লিখে যাবো প্রেম বর্ণ শত শহস্র শব্দকে ঘিরে,
মনগহীনে যে পদ্মাবতীর বসত বিটে সে তো ভালো করেই জান তুমি।


যদি সে হারিয়ে যায় সময়ের স্রোতে, কালক্ষেপণে, তখন কি করবে?


হারাবে না,হারাবে না সে এই নীলিমা ছেড়ে
ভয় নেই মরুর বুকে মরিচিকার বালুচরে
শুধুই সময়ের বিবর্তন আর বৈকি..!


নব পরিবেশে স্থানান্তরিত হবে
নব উদ্যান উর্বর ভূমিতে জীবনের চাষ হবে
এই তো বিবর্তন,তাই নয় কি...!


এই কবি..!
আমি জানি তোমার বুকের পাঁজর ভেঙে বহে যাওয়ার তীব্র দহন!
সমুদ্রের উথাল-পাতাল গর্জনের আছড়িত পড়া ঢেউয়ের অশান্ত মন।


কে বলেছে তোমায় এসব আজগুবি কথাবার্তা...?
হাহাহা অট্ট হাসির শব্দে যেন পৃথিবী কেঁপে ওঠে!


কবির লোকানো হাসিতে যেন আকাশ জুড়ে মেঘের বজ্রপাত ঘুড়ুম ঘুড়ুম আওয়াজ,
থেমে থেমে সমুদ্রের গর্জে উঠা ঢেউ।


বহতা নদীর স্রোতহীন ঢেউ জীবন তটে
শান্ত গম্ভীর-স্হীর জলাশয়ের আয়নায়
দূর আকাশের ভেজা চোখ যেন ভাসছে
চাপা কান্নায় দীর্ঘ নিঃশ্বাসে বাতাস আজ ভারী।


কবি তবুও তুমি নীরব…..
হুম..!হিমালয়েও যে শিশির জমে শান্ত রয় অতি  শোকে।
এই কবি....
তুমি মানুষ নাকি ভালোবাসার মোমের পুতুল?


দূর হতে তার কন্ঠ মিশ্রিত আলিঙ্গনে মিশেছি শত সহস্র বার,
কল্পনায় মাথা পেতে দিয়েছি বুকের উঠোন জুড়ে
চিত্র এঁকেছি লক্ষ কোটি পৃষ্ঠা।


শুধুই মায়াবী চোখের সীমানা খুঁজতে খুঁজতে
পথ হাঁড়িয়েছি বহু বার
সকল নদী মিশেছে যেখানে সমুদ্রের জলরাশি একাকার,
পাখির ডানায় নাম লিখেছি পদ্মাবতী নাম তাঁর।


কখনো হয়েছি জলন্ত অগ্নি চুল্লী
কখনো গলে গলে হয়েছি মোমের পুতুল
আবার কখনো হয়েছি বাষ্পিত দোয়ার শিশির বিন্দু।


এখন তুমি বুঝে নাও আমি কি
কোথায় আমার স্হির চিত্র?


কবিতার শহরের অলিতেগলিতে মোহন বাঁশি বাজিয়েছ প্রেমকে করে তুলেছ ভরা যৌবনা,
পদ্মাবতীর প্রেম কাব্যের সৃষ্টি ঝড়ে মাতাল করেছ ভুবন।
শুধুই পদ্মাবতীকে ভালোবেসে...!


আমাবস্যার অন্ধকার তিথিতে ভালোবাসা খুঁজতে খুঁজতে অক্লান্ত ঝাপসা আঁখি তোমার।


হৃদপিণ্ডে অনুভূতির প্রেম স্পর্শে ছাঁদের এক কোনে কাটিয়ে দিয়েছ সমস্ত রাত,
পদ্মাবতীর ভাবনায় সপে দিয়েছ নিজের অস্তিত্ব টুকু।


তুমি আমার সেই চিরচেনা চঞ্চল চড়ুই পাখির মত শত সহস্র বছরের উদাস ভাবুক কবি।


হৃদয়ে পদ্মাবতীর প্রেম লালন করে করে
স্বর্গসুখ খুঁজে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা দেখেছি আমি, তোমার আঁখি জুড়ে।


পিপাসিত চাতক পাখির ন্যায় লিখে যাচ্ছ প্রেমকাব্য,মহাকাব্য  ''কেবলাকান্ত পদ্মাবতী"।


হয়তো একদিন হস্তে লিখিত কলমের কালি শুকিয়ে যাবে।
নয়তো মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধবে,নিস্তেজ হবে দেহবিটা।
এক ঘুমে কাটিয়ে দিবে জগৎ সংসার
পৃথিবীকে ঘুমের ঘরে সাজিয়ে রেখে।


হয়তো অদৃশ্য কালি শুকিয়ে সারশূন্য হবে জ্ঞানের ঝুপড়ি,
শুধুই কি তাহার ভালোবাসার অভাবে..?


দোষ দেবো না বাপু তাকে
কারণ হৃদ স্পন্দনের সমস্ত অনুভূতির স্পর্শে ভালোবেসেছি,খুব ভালোবেসেছি স্বযত্নে।


হারিয়ে যাওয়া গণিতের শেষ পৃষ্ঠায় যোগফলটি ব্যর্থতায় পূর্ণ ছিল কিনা জানি না!


ভালোবেসে আর কত কষ্ট পেলে
ভুলে যাবে বিরহের কাব্য লিখা,
ভুলে যাবে প্রেম কন্যা পদ্মাবতীকে?


এই কবি এতো উদাস কেন তুমি?
ঝাকড়া চুলের বাবরি তলায় কিসের এতো ভাবনা....?


এই কবি উত্তর দাও....
চুপ করে থেকো না আর...
তোমার চুপ থাকা যেন আমার হাজারো প্রশ্নের হামাগুড়ি।
জোনাক পোকারা ঘুম থেকে জেগে উঠে।
এবার কলম থামিয়ে ধ্যান ভঙ্গ কর।


আমি তাকে ভুলে থাকবো কিভাবে
কবিতার শব্দ গুলো আমাকে ভুলে থাকতে দেয় না
আজও এই মুহূর্তে পারিনি ভুলতে।


কবি তাহার সনে তোমার চোখে চোখে কথার উত্তর কত দূর,
ধরতে পারো পদ্মানদীর উথাল স্রোত যতদূর।


নাকি আজো অসমাপ্ত ডায়েরিতে সীমাবদ্ধ?
নাহ্..বাপু...!
তাঁহার সনে সকল দেনা পাওনা
মরুভূমির বালুচরে মরিচিকা।


মোহনার তীরে শুধুই আর্তনাদ রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত কবির হৃদ বক্ষ।


তবুও কবি চঞ্চল,স্থির,
কবি ভাবুক,দার্শনিকতার দর্শনবিদ।
কবি শৃঙ্খল থেকে শৃঙ্খলমুক্ত।


কবি খুবই মুশকিল পূর্ণ লোক বটেই
পদ্মাবতীর অসমাপ্ত প্রেম ছন্দে
কখনো পাথর কখনো উদাসীন।


কবি শব্দের ভাঁজে ভাঁজে প্রেমে তৈরী করে,
নৃত্য আঁকে আকাশে।
শব্দের ঝংকারে বুকফাটা আর্তনাদে হুমড়ি খেয়ে থমকে দাঁড়ায়।
নিরব চীৎকারে ডায়রির পাতাগুলো ভিজে যায়
এক এক করে খসে পড়ে
কাঠপেন্সিলের আলতো আঘাতে।


পদ্মাবতীর প্রেমালঙ্কারে দাগ কাটে,
কবির পুরো কলিজা জুড়ে রক্তের সিঁদুর বহে
অদৃশ্য স্নায়ু শক্তির প্রভাবে।


শব্দের মায়াজালে তৈরী মৃত্যুবাণ
দীর্ঘ নিঃশ্বাস,ভালোবাসার আই সি ইউয়ে খুবই অক্সিজেনের অভাব।


কবির শব্দ শহরে একাই সকল রাজত্বের অধিকারী।
বিশ্ব মহাবিশ্বের রাজসিংহাসনের
রাজ মহাধিরাজ।


অক্ষর সেনা সৈন্যই প্রধান অতিথি কাব্যশালায়
জ্ঞান তাহার কাব্য লিখার ভিত।


"পদ্মাবতী কেবলাকান্ত" উপন্যাসের অদৃশ্য মায়া শক্তি "পদ্মাবতী"।।