একশ বছর এই দেশে––তবু যেন রয়ে যাই একশ বছর পরে;
একশ বছর নেয়ে ঘেমে সয়ে গেছি গ্রীষ্মের রোদ, ঝড়ো বর্ষার দিন,
তার পরে শরতের জলে ভেসে চলে গেছে কিশোরের নাও––অচিন
কিশোরীর ছায়া মেখে দেহ মনে; আচানক ঘ্রাণে ভরা ফসলের পরে
ক্ষেতে পড়া ধান খুঁজে ফিরে গেছে একশ শীতের রাত; হাড়কাঁপা জারে
চুপে চুপে খেয়ে গেছে খেজুর রসের মালা লাজুক পিপড়ার দলে
সারি বেঁধে, তার পিছে শীতের পাখির ঝাঁক চিনে নিছে হাওরের জলে,
উড়ে উড়ে তার পরে ফিরে গেছে বরফের সাদা রঙা কন্যার ধারে।
এইভাবে কেটে গেল একশ বছর কবে! নিয়ে সাধ ভাবি, আহা, কেটে যাক
হাজার বছর তবে এই দেশে; শুধু যদি আরবার চুপে চুপে দেখা হবে
করুণ চোখের মেয়েটির সাথে; অভিমানে যে চলে গেছে, তার স্মৃতি শুয়ে থাক
বিরহের খাটে, এই ভেবে বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছি মাঠে ঘাটে, হারিয়েছি কবে!
সেই থেকে রচে যত বিরহের গান; আহা, তবু তার সাথে হয়েছিল দেখা,
অনুক্ষণ প্রেমে ভিজে একশ বছর গেল––প্রণয়কাব্যখানি হলো কই লেখা!
ঢাকা, ২০১২-১৩
প্রথম প্রকাশ: বাংলা-কবিতা ডট কম, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬ হি.