জীবন থমকে যায় হুট করেই
বহমান শ্বাসগুলো স্থির হয়ে যায়
চঞ্চল চোখগুলো নিথর তাকিয়ে থাকে
নরম ঠোটের উপর নিচ সংঘর্ষ বন্ধ
ভিতর থেকে কোন আওয়াজ আসেনা
জলজ্যান্ত প্রাণ মুহুর্তেই যায় বহুদুরে
চলন্ত শরির পরিণত হয় নিস্তব্ধ লাশে
আপন মানুষগুলো পর হয়ে যায়
যে বুকে মাথা রেখে প্রিয় মানুষগুলো
পরম শান্তিতে চোখ মুদত!
সেই আখিগুলো ভয়ে কাছে ভিড়েনা
ভয়, আতংক, দ্বিধা, কষ্ট, অভিমান
সব ভর করে একসঙ্গে
সময়ের মত প্রকৃতিও স্থির হয়ে যায়
বাতাসের গন্ধও বদলে যায়......


বাতাসের করূণ বিলাপে
জ্যান্ত পশমগুলো শিরশির করে উঠে
কিছু আখি উদাস হয়ে তাকিয়ে থাকে অজানায়
নোনাজলের বান গড়াতে থাকে অবিরাম
একসময় শুস্ক রেখার ছাপ রেখে যায়
চারদিকে টুংটাং, হই হই, রই রই
নারী পুরুষ মিলে একাকার
কেউ সাদায়, কেউ কালোয়
মিল একটাই, চোখে জল
প্রিয় হারানোর বেদনা
আফসোস,  হতাশা, ক্রোধ, দুঃখ
প্রিয় মানুষটার চাওয়া পাওয়া
জীবন্ত হয়ে উঠে
হায়! এটা খেতে চেয়েছিল, ওটা করতে চেয়েছিল
হায়, কেন শুনলাম না! কেন দিলাম না একটু পানি...
কান্নার বান বয়ে যায়
গলার আওয়াজ চওড়া হতে থাকে
দুমড়ানো মুচড়ানো আবেগে
শিউরে উঠে প্রকৃতিও
কাদো মানব, কাদো!!!
একে কি বলে জানো?
মৃত্যু! মৃত্যু! মৃত্যু!
চিরন্তন সত্য মৃত্যুই..
যা একদিন আসবে
সত্যিই আসবে
সবার ঘরেই........