অলস ক্লান্ত দুপুর বেলায় বৃষ্টিতে, আমার ঘুম চোখে মুখে ভেসে আসে..
তবুও জানালা দিয়ে বাহিরে তাকাই, দেখি অনেক মানুষই হেটে চলছে..
তাদের গন্তব্যে যাওয়াটা বৃষ্টি অনুভুতিকে দু ভাগে ভাগ করে..
কারো মুখে হাঁসি ফুটে, কারো মুখে উদাসীনতা মেখে!
রাস্তায় রিকশা চালকের দল মানুষের রথের সারথি সেজে
হাওয়ার ছন্দে ঘোড়ার মতো ছুটছে।
আর রিক্সার প্লাস্টিক ভেদ করে জল ঢুকে হাতাগুলো ভিজিয়ে দিয়ে, আজ বলে যায় বৃষ্টি এসেছিল।


সেই রাস্তায় সাদামাটা শিশুরা কাঁদা মেখে বৃষ্টিতে
খেলছে-নচেৎ জীবনের সবচেয়ে রঙিন অধ্যায়ের স্মৃতি মগজে লিপ্ত করছে...
আর রাস্তার ধারের উঁচু ফ্লাট বাড়িটার বারান্দায়, ফুলগুলো যেনো এক বৃষ্টিস্নাত দুপুরের তৃপ্তির স্বাদ অনুভব করছে...


রুম ঝুম শব্দে বৃষ্টি ঝড়ছে...
ঘুঙ্গুর পায়ে সে যে নেচে যাচ্ছে...


অসময়ে বৃষ্টি এসে ঠিকই ভিজিয়ে দিলো এ শহর।
সঙ্গে ভেজে এক ট্রান্সমিটারের খাম্বার উপরে দাঁড়ানো কাক,
একটা দুপুরবেলাও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভেজে
শুধু সময়ের স্রোতে পা ডুবে যায় সকলের নর্দমা ছাপিয়ে আসা জলে...


এক মানবী ছাতা হাতে-
বেয়াড়া বৃষ্টির ফোটায় ফোটায় দুলে ওঠা
সবুজ সতেজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে,ঘোমটা দেয়া,
লজ্জায় মুখ লুকানো নব বধুয়ার মতো
রাস্তায় খালি পায়ে ছলছল ছন্দে হেঁটে চলছে...
হয়তো তার কানে গুজে রাখা হলুদ অলকানন্দা
এবং তার চোখে এক সহস্র রহস্যময় জাদু।
মনে হলো তার চোখে চোখ রেখে দেখার ভাগ্য
যদি হতো আমার,
তবে মনে নরম শীতল মেঘের উৎপত্তি হতো!


আমি একটি জানালা, দরজার, ঘরে বসে প্রকৃতি
কে নিজের মতো দেখছি, ভালোবাসছি।।
অথচ আমার সামনে শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে একটি বিড়াল।