ছুঁড়ে দিলে বিষ, আমার মসৃণ দেহে বিষাক্ত ছোঁয়ায়,
দাঁড়িয়ে থাকলাম কোমল জলের ধারে ঠাণ্ডা হিমে;  
শিশিরের ফোঁটায়, অরণ্যের স্বপ্নের মর্মে, ভাবনায়  
জ্যোৎস্নার আলোতে, অজানা স্পন্দনে পবিত্র
সম্পর্কের গাঢ় মধ্যেদিনে, আকাশ ছোঁয়ায়
আদিম মানুষের মতো আমার গভীর হৃদয়ে জন্ম
নিলো বিন্দু বিন্দু নক্ষত্রের রূপ আর
মানবিক সম্পর্ক প্রোজ্জ্বল সবুজ শস্যেয় পরম উদ্ভিদে;  
গ’লে পড়া লাল আগুনে নিঃশব্দে,
ভাবনার বিচিত্র রূপ খেলা ক’রে রক্তের গভীরে
গলিত অশ্রুকণায়, হারানো সুরের বিনিদ্র রজনীতে  
নিসর্গ সন্ধ্যায় তোমার মুঠোতে প’ড়ে
রইলো আমার সৌন্দর্য শোভিত ব্যর্থ
ভালোবাসা। আশ্চর্য বিশ্বস্ত মাধুর্যে, রক্তে আর মাংসে
তাঁরা দিয়ে গেল মেঘমালার সুখের প্রবাহিত ধারা,
শীতল ঢেউ আর পঙ্কের সরোবরে জন্ম নেওয়া
ব্যর্থ আমার রক্তিম দুই ঠোঁট আভাসের ঐকতানে;
ভেঙে যাচ্ছি নষ্ট চাঁদতারার মাঝে শব্দহীন দূষিত বাতাসে
বধিরতা নেমে আসে আমার চতুর্দিকে মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশা,
আর শিশিরের অমরতায়। আমার দু’চোখে স্বর্ণচাঁপা,
কৃষ্ণচূড়া, জ্যোৎস্নাময় গন্ধরাজ কেঁপে কেঁপে মিশে যায়
শ্রাবণের বৃষ্টিতে। বাতাসে ভ’রে আসে চন্দনের সুগন্ধ;
তীব্র প্রেমে হৃদয়ের শূন্যতায় মধুময় আমার নষ্টদিন
উজ্জ্বল হ’য়ে উঠে নিঃসঙ্গ মননে, মেঘমালার নিবিড়
নীলিমায়, শুভ্রতায় ভ’রে উঠে আমার সুবর্ণদিন।
আজও তাকিয়ে থাকি প্রোজ্জ্বল বিষাদের দিকে
যেখানে একদা জেগে উঠতো স্নিগ্ধ অম্লান চাঁদ।