এসো তুমি সুন্দরী প্রিয়তমা আমার বাহুতে; হৃদয় আর শরীরে;  
হাতে হাত রাখো, অমল আর লাল মেঘে; ঝ’রে পড়া নিসর্গমালায়;    
চাঁদ, জ্যোৎস্না আর মায়াময় গভীর আলিঙ্গনে, চন্দ্রালোকের উজ্জ্বল
কোমলতায়; হারানো নিসর্গ নদীতে; গ’লে পড়া নীল মেঘে, শরীরে,
আর একটু উ’ঠে এসো, আমাকে লক্ষ্য ক’রে, স্নিগ্ধ পবিত্র সরোবরে,
আজ বিধ্বস্ত হোক অতীতের সব মধুর সম্পর্ক, কেঁপে কেঁপে ধরা দিই,  
হারানো অনন্ত ফাল্গুনে; অলৌকিক মানবিক সম্পর্কে; গাঢ় নীল ঠোঁটে,  
এসো তবে আমারই দিকে, এইতো আমি ! সুন্দরী প্রিয়তমা ! এসো,  
জীবনের আদিম উচ্ছল উৎসবে, সৌন্দর্য আর অমল বিস্ময় ! সোনালী
আচল খ’সে পড়ে; জোনাকিরা জ্বেলে যাবে মৃদু আলো তোমার আলিঙ্গনে;    
ঝ’রে পড়ুক নীল মেঘে; আঁখিতাঁরায় করুণ অশ্রুময় নরম চুলে; পূর্ণবেগে,      
এ সবই আমাদের; অস্তিত্বের ধ্বংস আর পুষ্পচয়ন করি ফুলে উঠা পদ্মে;  
এই যে আমার পায়ের দাগ, অপার্থিব সৌন্দর্য, অমরাবতী ! আমার পদ্যের  
সুর, চন্দনের করুণ চিহ্ন, জ্যোতির্ময় উদ্ভাসিত আলো; তোমার স্বরের সাথে
গেঁথে উঠা আমার নিসর্গনীলিমা; আমার আঙুলে গেঁথে থাকে শূন্যতার শিখা,    
এসো তবে; আমার রোদনের চিহ্নে স্মৃতিময় গভীর আর গাঢ় পথে, নিসর্গে,  
পায়ে পা রাখো; গোপনে গোপনে, হারানো সুরে, স্বরমালার আশ্চর্য মৌলিক    
ধ্বনিতে; হাতে হাত রাখো আলতো ক’রে, তোমার হাত যেন বেহালার সুর;
কম্পন যেনো বেগমান বিদ্যুৎ, জমে থাকা তীব্র-উজ্জ্বল সবুজশোভিত অরণ্য;  
প্রবাহিত রচিত শোভা, থরো থরো কেঁপে উঠা আমার অন্তিম সৌন্দর্যগাঁথা,  
উ’ঠে এসো, ধীরে ধীরে, নির্জন সম্পর্ক ধু’য়ে মুছে, উদ্ভাসিত দিগন্তের পালে,  
এসো আমাকে লক্ষ্য ক’রে, আশ্চর্য আলোয়, জ্বেলে দিই সব দীপাবলির শিখা;  
লাল টুক টুকে রক্তজবা; আমার রচিত গাঢ় সূর্যমুখী, আলিঙ্গনে ঝ’রে পড়া
চন্দনের সব প্রলাপ আজ ভেঙে পড়ুক তোমার করপুটে; তোমার স্তব আজ
আমার ঐক্যতান, উজ্জ্বল আলোয় জড়িয়ে ধরো হারানো সুরে; সমস্ত বাহুতে,  
আজ আমরা ঝড়াবো বৃষ্টি লাল মেঘে মেঘে; ছুঁয়ে যাবো বিষাক্ত নিবিড় ঠোঁটে,
নাচবো আমি আজ; তোমার সঙ্গে; সঙ্গপানে সব কিছু মাতিয়ে; দু’বাহু জড়িয়ে
নাচবে তুমি আজ; আমার সঙ্গে, সব কিছু কাঁপিয়ে, সঙ্গীতের সুরেসুরে নিসর্গে।