প্রথম বন্ধু প্রথম বিশ্বাসঘাতক

প্রথম বন্ধু প্রথম বিশ্বাসঘাতক
কবি
প্রকাশনী বিভাস
স্বত্ব লেখক
বিক্রয় মূল্য ১৫০

ভূমিকা

কবিতা পড়া শুরু করেছিলাম উচ্চ মাধ্যমিক থেকে; পড়েছি কবিতার পর কবিতা। এক প্রকার ভালোলাগা থেকে এটা শুরু করেছিলাম; যা আজও চালিয়ে যাচ্ছি নিরন্তর ভাবে সকাল বিকাল আর সন্ধ্যায়। বাঙলা কবিতায় চোখ রেখে নিজের ইন্দ্রিয় ভ’রে তুলি সৌন্দর্যের পর সৌন্দর্যে। যে সৌন্দর্য অনন্ত আলোড়ন ঘটায় আমার ইন্দ্রিয়ে। আমার বুকের মধ্যে কেঁপে উ’ঠে মাঘের বাতাস, চৈত্রের সুনিবিড় সবুজ অরণ্য, স্নিগ্ধহিম সন্ধ্যা, নদী, ঢেউ, বৃষ্টি, জ্যোৎস্না, নিসর্গমালা বসন্ত, শিশিরসিক্ত শিউলি, অমলশুভ্র ঘাস ফুল, চন্দ্রমল্লিকার ঘ্রাণ, রুপালী উদ্ভিদ, সকালের শিশির, ঝলমল রোদ, নক্ষত্র আর জ্যোতির্ময় আলো। আমি যেন এগিয়ে যাচ্ছি; আদিম এক গভীর অন্ধকারের দিকে, যেখানে রয়েছে বিশাল এক শূন্যতা; হাহাকারময় নিস্তব্ধতা, মানবহীন সম্পর্ক, প্রিয় মুখগুলো যেন অর্থহীন। আমি যেন মুহূর্তে হারিয়ে যাচ্ছি মেঘের গভীরে ! জলের নীল সমুদ্রে ! গভীর এক শূন্যতা যেন নেমে আসছে আমার চতুর্দিকে। কবিতার অপার সৌন্দর্যের কথা কি মনে থাকবে আমার ? তাকি গেঁথে থাকবে না আমার স্মৃতিকণায় ! আমি তা জানি না ! আমি সেই সব কথাই বলেছি আমার কবিতায়। যা নাড়া দিয়েছে আমার ইন্দ্রিয়কে; কাঁপিয়েছে আমার সৌন্দর্যবোধকে। কবিতায় আবেগ-ভাব-ভাষা বিন্যাস রয়েছে পঙক্তিতে-পঙক্তিতে , কখনো তা জেগে উঠেছে নিঃশব্দে; আবার কখনো তা পেয়েছে প্রসারিত রূপ। প্রথম বন্ধু প্রথম বিশ্বাসঘাতক-এ; আমি তাই তু’লে আনার চেষ্টা করেছি। কবিতার দিকে চোখ রেখে স্বপ্ন দেখি, তার মাঝেই খোঁজার চেষ্টা করি জ্যোতির্ময় অপার বিরামহীন সৌন্দর্য।

উৎসর্গ

শামসুর রাহমান
শ্রদ্ধাভাজনেষু