সকল সম্পর্ক ভু’লে মাঝরাতে বেড়িয়ে পড়ি আপন পথে; যেখানে বেড়ে উ’ঠে
আমার মধুময় হারানো শৈশব; এখানকার সব’ই আমার চেনা, সম্পর্ক যেন গভীর
রক্তের সাথে; উঠানে এসে যখন পা রাখি, জ্যোৎস্না রাতে আমার ছায়া দেখে
আমিই বিহ্বল হ’য়ে দাঁড়িয়ে পড়ি, দীর্ঘ একটি ছায়া ও আমি গভীর নির্জন
আলোয় একা দাঁড়িয়ে থাকি, সেও আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে একাকী মনে;
যেন আমার পথ তার’ই হ’য়ে যায়; আমি মনে মনে বলি; নিঃসঙ্গ একাকী মানুষ
আমি ভাবনার জগতে; কবিতা লিখি, সুখ ও দুঃখের কথা লিখি অমল সুরে;
ছায়া কি এতো বড় হয়ে গেছে? যে আমাকে ছেঁড়ে যেতে চায় দূর-বহুদুরে !


সে কি মেঘ ও চাঁদকে ছুঁয়ে ফেলবে ! প্রসারিত বাহু যেন সেদিকেই এগিয়ে যায় !
আমাকে ছাড়াই তার পথ অনেকদূর এগিয়ে গেছে; কৃষ্ণচূড়া হাসনাহেনা আর
কামিনীর কথা ভু’লে ছায়ার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকি; আলো-আঁধার আমার
খুব চেনা, নীলের ভিতর আমিও ডুবে ছিলাম আপন রঙে পরিশুদ্ধ সম্পর্ক চেয়ে;
কৃষ্ণচূড়া ও নারকেলের ছায়া আমার খুব প্রিয়; নীল ছোঁয়ায় প্রোজ্জ্বল কণ্ঠস্বর
আমার শ্রাবণ জলে, এখানে কতবার দাঁড়িয়ে ছিলাম মাঘনিশিতের ভরা পূর্ণিমায়,


যেন কোনো এক গভীর সৌন্দর্যের মাঝে আমি হারিয়ে যাচ্ছি শুভ্র মেঘমালায়;
আমি যা দেখতে পাচ্ছি, তার সব’ই যেন ডুবে যাচ্ছে, সেই জ্যোতির্ময় সৌন্দর্যের
মাঝে, চাঁদ ও জ্যোৎস্নার ভেতর আমি যেন দাঁড়িয়ে আছি কয়েক কোটি বছর ধ’রে,
সেই সৌন্দর্যের পথে আমি হেঁটেছি অনিবার্য দিনে; বু’কের গভীর শূন্যতায় তাঁকে
লুকিয়ে রাখি অমল শুভ্রস্পর্শে ; যেন বেঁচে থাকে আমার সমান বয়স নিয়ে, অশ্রু
ছোঁয়া হৃদয়ে গোপন নিসর্গ নীলিমায়, নীলছোঁয়া প্রোজ্জ্বল ঠোঁটে বিস্তৃত আঁখিকোণে