মসৃণ ভাবনার আকাশে, বেড়ে উঠা চেতনার সন্ধ্যাতারায়
ঠাই নিই বেঁচে থাকার জন্য; জানি হয়তো হারিয়ে যাবো,
ঐশ্বর্যময় মুহূর্তের জন্য; আবার হয়তো বেঁচে যেতে পারি
কয়েক দশক; সত্য বা মিথ্যায় পরিণত হ’তে পারে আমার
সকল ভাবনা নীরবে; তাদের আর বেঁধে রাখি না অন্যসকল
সুত্রে, মানুষ যা খুব বেশী পছন্দ করে নিত্য চর্চায়; রক্তনালী
বেঁয়ে ঝ’রে পড়ে সেই অমল সুর; গেঁথে যাওয়া অম্লান মেঘে
আলো ও আঁধারে মিশে থাকে সবকিছু পরম উদ্দীপ্ত উল্লাসে;
তাকে লালন করি আমার মৌনে; সব ছেঁড়ে প্রাণের অন্তরালে  
তাকে বলি, আরও গভীরে যাও; লাবণ্যের মুগ্ধময় পথ ধ’রে;  
ব’য়ে যাওয়া ঠোঁটের ছোঁয়ায়; ঘন সন্ধ্যা নামে আমার বু’কে;
নষ্টদের সকল প্ররোচনা ধু’য়ে যাক অপার্থিব সৌন্দর্যে-সবুজে
কারুকার্যময় সকল কিছু আজ আমার হোক পার্থিব মুহূর্তে;
দিগন্তের শেষ সীমানায় পৌঁছে যাবো কেঁপে উঠা রাত্রিকালে
সকল স্পর্শ আজ ছুঁয়ে যাবো পরস্পরের কোমল রিক্ত ঠোঁটে;
গভীরতম আজ যা কিছু, শৈবালের হ্রদে ভিজে যাবে স্রোতে
স্পর্শহীন রাখবো না বিষদগ্ধ অন্ধকারে, গাঢ়নীল অশ্রু মাধুর্যে  
আমিও বেঁচে থাকতে চাই নিসর্গের কোমলে জ্যোৎস্নার বুকে;
স্নিগ্ধ-শান্ত ফু’টে উঠা সৌরভে, বিস্ময়ে বিমুগ্ধ তাকিয়ে থাকি
শিশিরের কোমল ঘাসে, অরণ্যের মর্মর নীলিমার জ্যোতির্ময়ে;
মেঘপুঞ্জ আকাশের দিকে নিমগ্ন হই পবিত্র প্রেমের সম্পর্কে
হৃদয়ের সকল সুধা আজ আমার জেগে উঠা নিশীথের হাওয়া;
নিরিবিলি অন্ধকারে লুকায় মুখ; বৃষ্টির ফোঁটায় ভ’রে উ’ঠে নীল
আলোয় কোমল হাত আমার মুখে, স্পর্শ-শব্দ-কবিতা ব্যর্থ হ’য়ে
উ’ঠে রাতের অন্ধকারে, প্রতিধ্বনি কণ্ঠে, প্রতি মুহূর্তের ছোঁয়ায়।