মেঘে-মেঘে স্বপ্ন ভাসে আমার নিশীথের আড়ালে; হলুদ বনে বাতাসের কোমল সুরে,
মিশে থাকি আরও গাঢ় হ’য়ে, আকাশের কানে কানে; গন্ধ মিশে যায় চাঁদের রুপালী
আলোয়; আমার চেতনায় লাল হ’য়ে, কথা বলি আপন মনে স্বপ্নের সাথে, ঝ’রে যায়
শিশিরে আঁধারের স্পর্শে, খোলা হাওয়ায় উড়িয়ে দিই আমার সকল ভাবনা তার গন্ধে;
স্পর্শে ছুঁয়ে যায় তার বাহুতে কেঁপে-কেঁপে, ভেঙে প’ড়ে সকল সম্পর্ক আশ্চার্য শরীরে,  


বসন্তের উৎসবে মেতে উঠি কঠিন চুম্বনে; তাঁদের চুলে গেঁথে থাকে আমার ব্যর্থ স্বপ্ন
লাল আগুনের মতো, গাঢ় অন্ধকারে দিক্বিদিক খুঁজে বেড়াই জীবনের ঐশ্বর্যময় সম্পর্ক
অদৃশ্য ছায়ায়, সকল মহিমা ম্লান হ’য়ে যায় মুহূর্তে, নিবিড় চোখের কল্পনায় জ্যোতির্ময়
নীল বুকে, মেঘের ছায়ায়, কুয়াশায় মিশে থাকে বৃষ্টির কঠিন শব্দে, বুকের মধ্যে সুরে
সুরে রাত্রির বিচ্ছেদে, চৈত্রের হাওয়ায় আমিও মিশে থাকি আনন্দের প্রবাহিত ঢেউয়ের


বিবর্ণ ছড়ানো রঙে, রক্তের হিম পল্লবে ঝ’রে প’ড়ে সন্ধ্যাতারা মুহূর্তের পরম সৌন্দর্যে,
তাঁদেরকে হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে রাখি মুগ্ধ উজ্জ্বল আলোয়; রাত্রির গভীর অন্ধকারে
হারিয়ে ফেলি উম্মিলীত নিবিড় লগ্নে, স্তব্ধ পরস্পরে মেঘপুঞ্জের আড়ালে পবিত্র প্রেমে;
আমার সম্পর্ক লুপ্ত হ’য়ে যায় আলো-আঁধারের রহস্যময় অন্ধকারে; সুরের মূর্ছনায় তা
ভুলে যাই বিষাদের আঁখিপাতে, স্নিগ্ধ আমার কঠিন প্রেম, দীর্ঘজীবী হও শাদা মেঘের


ঢেউয়ের বু’কে সুগভীর প্রতিধ্বনিতে, সবুজ পল্লবে তাঁদের রেখে দিই চাঁদের আলোয়
ছড়িয়ে প’ড়ে দিগন্তের জলের স্রোতে, ব্যর্থ আমার রচিত সকল সুর, নিবেদিত প্রাণে
বেঁধে রাখি ফাল্গুনের হাওয়ায়; আশ্চার্য সৌন্দর্য ফু’টে উ’ঠে শুভ্র আগুনের মত আমার
বু’কে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে; স্পর্শ আর ভালোবাসায় তাঁদের ডাকি না নিবিড় সুরে;
ছুঁয়ে যাওয়া আঙুলে গেঁথে থাকে সকল ভাঙা সম্পর্ক আমার মেঘ আর স্বপ্নের সাথে;