অনেকগুলো মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলাম নিবিড় ভাবে, গভীর দৃষ্টিতে,  
যারা সফল, সমাজ রাষ্ট্রে আর সভ্যতায়; পৃথিবীর গ্রহ জুড়ে রয়েছে তাঁদের
নানা কিংবদন্তি, তাঁদের বিশাল হাতে ধরা পরে রাশি রাশি স্বপ্ন; সোনালি
আলোয় ভরিয়ে তোলে বাঙলার চতুর্দিক, দশদিগন্ত প্রসারিত তাঁদের অমল
সৌন্দর্য; রক্তের নিবিড় সম্পর্ক সর্বব্যাপী, চাঁদের গলিত হিমবাহ নিস্তব্ধতার
সৌন্দর্য ধীরে-ধীরে ছুঁয়ে যায় বিশাল মাধবীর রূপে; অমল আঙুলে গেঁথে  
থাকে উজ্জ্বলময় নিস্তব্ধতার রূপান্তরিত শিল্পকর্ম; বিশাল অবিন্যস্ত শোকাবহ
বাণী সীমাহীন অনুভূতির হৃদয়ে মেঘমালার শ্রাবণজলে ছড়িয়ে প’ড়ে অমল
সৌরভ নরম শরীরে; পৃথিবীব্যপ্ত সকল সুখ তাঁর অধীনে শিশিরের মৃদুহিমে,
মুহূর্তে তাঁদের ইন্দ্রিয়গুলো মিশে যায় পূর্ণময় ঠোঁটে কেঁপে উঠা স্নিগ্ধ সঙ্গীতে;
নির্জন শূন্যতায় ভ’রে উঠা দুপুরের আলোয় ছড়িয়ে প’ড়ে গাঢ় সন্ধ্যা নদীর ঢেউ,  
সুন্দরের সকল অর্থ যেন মুছে গেছে সোনালি সুতোয় নিঃসঙ্গ ভাবনায় ঝ’রে


পড়া অলৌকিক চিত্তে গাঢ় বৃষ্টিতে; নির্মম নির্বোধ সহিষ্ণু সকল পথ আজ দৃঢ়;  
অবারিত শতাব্দীর কেঁপে উঠা স্মৃতিময় পবিত্র শ্লোক তাঁদের সম্পূর্ণ অবয়ব;
অপরিসীম বিষণ্ণ উজ্জ্বল রক্তিম ঠোঁটে মেখে যায় সোনা ঝরা স্বপ্ন, অলৌকিক
মননে স্পর্শের অবারিত টলোমলো স্মৃতিতে গেঁথে থাকে মায়াময় আঙুলের
ছোঁয়া, রঙিন স্বপ্ন নিয়ে যায় প্রসারিত সঙ্গীতের মৌলিক সুরে; অশ্রুবিন্দু ঝ’রে
পড়ে রচিত শিল্পকলার শূন্যতার মর্মে, ‘পূর্ণপ্রেম কবিতা হও মৃদু নিশীথিনীর
সৌন্দর্যে নির্মল হৃদয়ে’ একথা বলে যিনি চলে গেছেন বসন্তের সন্ধ্যায়, লাল
ঠোঁটে বাতাস বয় রঙিন খেয়ালে বিস্মৃতির অতলে মৌলিক ভাবনার রৌদ্রহিমে।