আমি জানি না আর কত দূর  যেতে হবে  আমাকে,
যে গন্তব্য আমার নয়, তবুও আপন ভেবে পা রাখি
ওই সব পথে, যেখানে পদচিহ্ন রয়েছে পূর্ব পুরুষের,
কেউ কখনো প্রতাক করিনি কোন অবয়ব, তবুও
সম্পর্ক রয় রক্তমাংসের, একান্ত আপন ভাবি  আমার বলে,
যে চিহ্ন শুধু  অতীত- বর্তমান বলে ভাবি তীব্র ক’রে ।
অন্তরালে কণ্ঠস্বর উদ্ভাসিত, সৌরভ বয় দিকে দিকে,
শ্যামল সুন্দর  অরণ্য আমার, জ্যোতির উদ্ভাস দৃশ্যয় ,
তরুন আমি,  মোহনীও শ্রুতি ছড়াতে পারি মুহূর্তয় ,
নক্কত্র, জল, নারী, উজ্জল-আলো, সবই নিয়েছি ইন্দ্রে-এ,
অরণ্যয়ের কণ্ঠস্বর আমাকে ও বিহ্বল করে তোলে ,
তন্দ্রা আসে, তবু ও জেগে রই অন্তরালে শ্যামল,সবুজ,অরণ্যই ।  
দণ্ডিত নই, সার্থক ক’রে  চলছি প্রতিটি মুহূর্ত, ঘ্রান নিই ত্রিব্ব সুগন্ধের,
আমার কণ্ঠস্বর আমারই নীরবতা উৎযাপন ক’রে,  
প্র্যাচিন ইতিহাস সাক্ষ্য নয়, জ্যোতির্ময় আলো তা আমারই হ’য়ে রয়।