আমরা বেসেছি ভালো, আমাদের মতো ক’রে একান্ত গোপনে।
কেঁপে কেঁপে দু’বাহু দিয়ে জড়িয়ে ধরেছি সমস্ত শরীর অন্ধকারে।
পাশাপাশি আলতো ক’রে গভীর চুম্বন; আমাদের ঘাসফুল আর
নদী ব’য়ে যায় আশ্বিনের বাতাসে, কাশবনে। স্তব্ধ, স্বরহীন আমার
ধবনিত ভাষা। আমার অপূর্ব পূর্ণিমার নিঃসঙ্গ চাঁদ একাকী, নীরবে।  
পর্বত আর তুষারচূড়ায়, জলের গভীরে শব্দহীন শীতল ঢেউ, আমার
হৃদপিণ্ডে গেঁথে থাকে শুভ্র জ্যোৎস্নার চন্দ্রমল্লিকার উষ্ণ বাতাসে।
ফুল, মেঘ, অরণ্য, শিশির, সুবর্ণের আশ্চর্য ঠোঁটে শিউলির বোটা
থেকে তু’লে নিই মধুগন্ধময় রক্তপদ্ম। আমার পাঁচ আঙুলে খেলা
ক’রে ইন্দ্রজাল, প্রবাহিত ঝর্নাধারায়। সোনা আর কোমল নীলকে
তুমি টেনে নেও আমার রুপালী ছোঁয়ায়। আমরা আমাদের নিঃশ্বাস
ও রক্তে তু’লে নিই মায়াবী স্বর্ণচাঁপা, অমল জ্যোৎস্নায় গন্ধরাজ।
আমাদের ঠোঁট আজ ব্যাকুল, উৎকণ্ঠিত ফাল্গুনের গ’লে পড়া  
শেফালী বনে। শিশিরের ফোঁটায় মুক্ত ঝো’ড়ে, কৃষ্ণচূড়াকে করি
লাল, কোকিলের কণ্ঠে তোমার ছোঁয়ায় হৃদয়ের বেঁচে থাকা হিমে।