প্রেয়সী, কোমল রক্তলাল হৃদপিণ্ডে গেঁথে থাকো
যার থেকে ঝ’রে পড়ে করুণ অশ্রুবিন্দু, প্রবাহিত
স্রোতে মিশে যায় সবুজ অরণ্যেয়, অবিরল ধারায়
আমার হিংস্র গোলাপ কেঁপে উঠে নীল পদ্মদীঘিতে;  
নদীর অবিরল স্রোত ছুটে যায় নীলিমার পুণ্যজলে;
ভাবনার মৃদু স্পর্শে যারা হৃদয়কে নিয়ে যায় গভীর
গহ্বরে; জলতরঙ্গের সাথে তা মিশে থাকে উজ্জ্বল,
ব্যাপক, স্পর্শহীন, তরঙ্গরাশি, মৌলিক ভাবনায় কেঁপে
উঠা গভীর শূন্যলোকে। তুষারের ন্যায় শুভ্র নদী ব’য়ে  
যায় হিরণ্ময় দিগন্তে, অফুরান তার শোভাময় শ্রুতি
আমার অলৌকিক স্বপ্নজলে, অন্তরঙ্গ, অবিস্মরণীয়,
একরাশ নীল আলোয় ঝ’রে প’ড়ে মুগ্ধময় প্লাবনে
তোমার রক্তিম সৌন্দর্যে, অমলিন পুষ্পপল্লবে পাখির
কণ্ঠস্বর হৃদয় স্পন্দনে, স্বপ্ন, স্মৃতি ভাবনা, জ্যোতির্ময়
আঙুলে খেলে যায় পূর্ণসুর, নিঃস্বর্গ অপার্থিব নীল ছোঁয়ায়
তা মিশে থাকে দীর্ঘ সরোবরের লাল নীল ঢেউয়ে;
রৌদ্রকণা ঝ’রে পড়ে অকস্মাৎ অন্তহীন জীবনের
নিবিড়তায়, গভীর জলে তার পরিত্যক্ত ছায়া, অন্তহীন
পাতালের অস্তিত্বহীনতায়। অমল, উজ্জ্বল, স্নিগ্ধ, বিহ্বল
মৃদুময় জ্যোতির্ময় দিগন্তে নেমে আসে নীলিময় অতীন্দ্রিয়;
জলরেখার গভীর অতলে প্রেয়সীর প্রতিশ্রুতি মিশে যায়
বিস্ময় আবেগে, নির্জন টলোমলো পূর্ণিমার জলে শিশিরের
চিহ্ন মিশে থাকে বুকের গভীরে, প্লাবনে তা আবার
বিষাদময় বিধ্বস্ত সম্পর্কে; জোনাকিরা জ্বেলে যায় নীল
আলো আমার বিষাদময় আঁখিকোণে, সৌন্দর্যের গভীরে
লুকিয়ে থাকে জমানো বিস্ময়ে নির্বাক কণ্ঠস্বর, অদ্ভুত সব
আকাঙ্ক্ষা মর্মরিত সহিষ্ণু আমার ছুঁয়ে যাওয়া গভীর নিঃশব্দে।