আশ্চর্য সুন্দরের সাথে, পায়ে পা মেলে আমিও এগিয়ে গেলাম, মেঘের নরম
ভাজে, গেঁথে থাকলো জীবনের জটিল আহ্বান, স্তব্ধ মুহূর্তে মুছে গেল রচিত
সকল অমর কাব্য শোকার্ত দিনে, চাঁদের সৌন্দর্য আর জ্যোতির্ময় আলোয় ম্লান
হ’য়ে ঝ’রে প’ড়ে প্রোজ্জ্বল ভাবনার চোখে-গাঢ় তিতিক্ষায়; সেই সাথে তার
আকাঙ্ক্ষার সব চিহ্ন ঝ’রে প’ড়ে বসন্তের হাওয়ায়, ব্যাকুল নিবিড়তায়-


ঔদার্যহীনতা ভেসে যায় অতীতের উত্তরাধিকারে চৈত্রের কোমল বাতাসে,
রচিত সুর আত্মপ্রেমে ভুলে যায় চাপা কান্নার দীর্ঘশ্বাসে, পাণ্ডুলিপির অক্ষর
হারিয়ে যায় শুভ্র আঙুলের ছোঁয়ায়; রুপালী নীল স্রোতের ঢেউয়ের বু’কে-
নির্মল সম্পর্ক মুহূর্তে ধোঁয়াশা ছড়িয়ে দেয় অতীতের টুকরো-টুকরো স্পর্শে,
স্তব্ধ আর বিশাল রাত্রির জ্বলন্ত অগ্নিতে, নিঃশেষে মিশে যায় মনের অন্তর্দাহ,


অদৃশ্য আমার গান, ক্লান্তির অপরূপে, মৃত্যুর সৌন্দর্যে, প্রতিধ্বনির শরীরে-
বু’কের ঐশ্বর্যে, কঠিন চুম্বনের মধুরতায়; আমার হৃদপিণ্ড গ’লে প’ড়ে হিমে-


শিউলির বোঁটায় জ’মে উ’ঠে সবুজ সম্পর্ক হিমস্পর্শে; বিমুগ্ধ সকল প্রকাশ
ভাবনার আড়ালে, শূন্যতায় উ’ড়ে গেল, শিশিরের ছোঁয়া রাত্রির গাঢ় অন্ধকারে-
অশ্রুকণা জ’মে উ’ঠে হারানো অন্তরের গভীরে; বিস্ময়ে স্মৃতির অম্লান মুহূর্তে,
আপন ক’রে ডুব দিই শ্রাবণজলে; স্মৃতির পাতায় জ’মে উ’ঠে লাল-নীল দীপাবলি
অলৌকিক অন্ধকারে; আমার হারানো সুর হারিয়ে ফেলি মাঘের রাতে-সৌন্দর্যে,

তাঁদের কণ্ঠে সুর রাখি শোকার্ত মিছিলে, যেখানে জ’মে উ’ঠে নগরের কোলাহল,
চন্দনের সুঘ্রাণ ব’য়ে যায় আমার চতুর্দিকে, গভীর রাতে ফিরে আসি কোমল
আলিঙ্গনে, তীব্র চুম্বনে গেঁথে দিই লাবণ্যধারা নীলবনে; ঠোঁটে ব’য়ে মায়ানদী,  
পলিমাটির বু’কে রোপণ করি সবুজ ঘাস আমার নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানায়,
বিষাক্ত ক্ষতে জমা হয় হলুদ পুঁজ, নিসর্গনীলিমার শুভ্র শরীরে অতীন্দ্রিয় তুষারে


বিলীন হ’য়ে উ’ঠে কারুকার্যময় সৌন্দর্য জল ও বাতাসে, ঝ’রে প’ড়ে পবিত্র
সম্পর্ক আমার সহস্র নিটোল জ্যোতির্ময় প্রেমে, গাঢ় বৃষ্টির ফোঁটায় ধু’য়ে যায়
কবিতার নিরর্থক পঙক্তি; শতাব্দীর প্রোজ্জ্বল আলোয় নিভে আসে আমার দীর্ঘ
কাল্পনিক স্বপ্ন, একফোঁটা উজ্জ্বল আভাসে, ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে যায় আঙুলের


কোমলধারা, মায়াবী টেবিল জু’ড়ে পড়ে থাকে পুস্পপল্লব, নীল আলোয় জন্ম
নেয় সংগীতের অমর সুর স্বপ্নের লাল ঠোঁটে; নীলছোঁয়া ডানা আমি মেলে দিই
দিক্বিদিক দৃশ্যের গভীরে, নৈসর্গিক দীপ্ত চেতনায় বেড়ে উ’ঠে নিজস্ব অপরূপ
ধারা, যে মণি-মাণিক্য ছেড়ে পরিশুদ্ধ বু’কে লালন ক’রে আশ্চর্যজনক শূন্যতা;