স্বপ্নগুলো জমিয়ে রাখি নির্জনে, শতাব্দীর রুদ্ধস্বর জীর্ণ গভীরে
অতল গহব্বরে, অনেকগুলো ভাবনার হৃদয়ে গেঁথে রাখি নয়নে,  
রক্তিম আভাসে উল্লাসময় কথা বলি ছুঁয়ে যাওয়া প্রাণের সুরে;  
মাধুর্যময় সঙ্গীতে, নিশীথের বাতাসের নীরবতা ভাবনার পানে  
আমার চতুর্দিক চোখ রেখে বলি, কে তুমি আমার নয়ন ভ’রে                
অম্লানস্মৃতি! চাঁদের রুপালী সৌন্দর্য; ঝরা পাতার হিম ফাল্গুনে,
সোনালী শুভ্র সন্ধ্যায়, স্মৃতিহীন মুছে যাওয়া পল্লবের শিশিরে;
প্রগাঢ় নিসর্গমালা আমার বিবর্ণময় সবুজে, বর্ষার মধ্যেদিনে
শ্রাবণের মেঘে রঙিন দিন, বেঁচে থাকার জন্য শ্রুতিময় ক’রে
তুলি আলোর ঝ’লকে, মোহময় মসৃণ নীল ফুলের উম্মীলনে;  
আমার কণ্ঠস্বর অবিকল ছুঁয়ে যাওয়া মাতাল হাওয়া অন্ধকারে
উজ্জ্বল নিবিড়, স্পন্দনের ধ্বনি আমার আঙুলের আয়োজনে,  
অলৌকিক হৃদয়ের স্নিগ্ধ হিম ঝ’রে প’ড়ে স্তব্ধ আলোর স্তরে
প্রোজ্জ্বল-সৌন্দর্য জ’মে থাকে সুদূরের কোন সর্পিল সোপানে;  
সমুদ্রে, গাঢ় নিঃসঙ্গ জ্যোতির্ময় অন্তরালে, চন্দ্রালোকের শরীরে  
নক্ষত্র অন্তহীন, পুণ্যময় সব মুগ্ধতা রূপান্তরের প্রফুল্ল যৌবনে;
ঐশ্বরিক গাঢ় স্তব ভাবনার মুহূর্তে একাকী নিঃসঙ্গতার রূপান্তরে                
স্বপ্নগুলো জমিয়ে রাখি পূর্ণতার ঢেউয়ের উজ্জ্বল বুকের গহীনে,
আমার রুপালী হৃদয়ের মাঘের হিমে, শিল্পের নিঃশেষ দিগন্তরে
ব’য়ে যায় প্রবাহিত ধারায় অম্লান স্তূপে; পুস্পময় বিবর্ণ গোপনে;      
ভাবনার সাথে, কুয়াশার গভীরে সেও মিশে যায় নীলাভ অন্তরে  
সন্ধ্যায়; মিশে থাকে কঠিন নীরবতা আমার প্রোজ্জ্বল ক্লান্ত দিনে  
নিস্তব্ধতা নেমে আসে স্বপ্নের গভীর হৃদয়ে ছুঁয়ে যাওয়া উচ্চস্বরে;
অজস্র ব্যর্থ সন্ধ্যা কেটে গেছে শুধু নিবিড়ে ছুঁয়ে যাওয়া প্লাবনে,
বিস্তৃত, নিরুদ্দেশ হ’য়ে প্রত্যহ প্রতিশ্রুতি জ্যোৎস্নায় আসে ফিরে;