নগরের সকল কোলাহল ভুলে অনায়াসে তারা জায়গা ক’রে নিলো  
তোমার ভাবনার কঠিন বিবর্ণ শরীরে যারা মৃত্যুর সাথে গেঁথে
নেয় মারাত্মক ব্যাধি, যাদের দেহে সারাক্ষণ আঁখিতাঁরায় ছুঁয়ে
যায় বিষ, জমে থাকা রক্তিমহিমে অশ্রুমালার বাতাসে;  
জ্যোৎস্নার আলোয় ভেঙে প’ড়ে অলৌকিক নিবিড়তা কোমল  
রক্তের টানে দিয়ে গেল বিপন্ন বিস্ময় স্বপ্নলোকে বেঁচে থাকার
কঠিন শপথ। নিদ্রিত আমি সন্ধ্যারাতে  
প্রোজ্জ্বলিত উজ্জ্বল আলোয় ভাবনার মৌনে;
পলিমাটির বুকে ঝ’রে প’ড়ে নীল বৃষ্টিপাত
গভীর প্রাণে, সুনিবিড় শিল্পের সবুজ চোখে    


তারা তোমাকে ভালোবেসে দিয়ে গেল শুভ্রতারা,
অশ্রু আর ভাবনার সঙ্গে নদী ছুঁয়ে যায় সোনালী সন্ধ্যায়
গভীর পথে, দীর্ঘসিঁড়ি বেয়ে নেমে গেল নিরুদ্দেশে স্বপ্নলোকে,  
বৃষ্টি ঝ’রে যায় আমার হলুদ বনে, পাতায় পাতায় স্নিগ্ধসুরে
ছুঁয়ে যাওয়া স্বপ্নকথার লাল দিনে; শান্ত আর শব্দহীন হৃদয়ে
গলিত চাঁদের সকল সৌন্দর্য টলোমলো, কথামালায়  
শ্রাবণের বৃষ্টি ঝ’রে প’ড়ে শূন্যলোকে তোমার আঁখিকোণে,  
হারানো স্মৃতি আজ মূল্যহীন কঠিন আলিঙ্গনে,
ভেসে আসা সুর রূপান্তরিত হ’য়ে উ’ঠে কোমল সঙ্গীতে
একান্ত গভীরে। দৈনন্দিন চিন্তাভাবনা মুছে যায়
সন্ধ্যা নদীর গভীর জলে, শিশিরের উপরে র’য়ে যায়
শুধুই তার করুণ চিহ্ন ভাবনাহীন উজ্জ্বল মননে
নিঃশব্দে, স্তব্ধতায় কেঁপে উঠে নিবিড় করতলে।